বুধবার , ২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

ইউপ নির্বাচন স্বতন্ত্র হয়েও ভোটের ফলে বিএনপি নেতাদের ‘চমক’

প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২ ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

ধানের শীষ প্রতীকে ৫ বছর আগে ইউপি ভোটে বিএনপি জয়ের হার ৮.৯৪%। এবার স্বতন্ত্র হয়ে বিএনপির নেতাদের জয়ের হার ৯.৩৯%।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি এবার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চলমান নির্বাচনে আনুষ্ঠানিকভাবে অংশ নিচ্ছে না। তবে দলটির স্থানীয় নেতাদের অনেকেই চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলেও ভোটের ফলে গতবারের (পাঁচ বছর আগে) চেয়ে ভালো করছেন বিএনপির নেতারা।

২০১৬ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ছয় ধাপে মোট ৪ হাজার ১০৪টি ইউপিতে ভোট হয়। এর মধ্যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি জয় পেয়েছিল ৩৬৭টি ইউপিতে। অর্থাৎ বিএনপি জয় পেয়েছিল ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ ইউপিতে।

অন্যদিকে এবার এখন পর্যন্ত ছয় ধাপে ৩ হাজার ৯৬৭টি ইউপিতে ভোট হয়েছে। প্রতিনিধিদের তথ্য অনুযায়ী, বিএনপির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন ৩৩৮টি ইউপিতে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত ৩৬৮টি ইউপিতে বিএনপির নেতারা কতটিতে জয় পেয়েছিলেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। সে হিসাবে ৩ হাজার ৫৯৯টি ইউপিতে এবার ধানের শীষ প্রতীক ছাড়াই বিএনপির নেতাদের জয়ের হার ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। প্রতীক ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সমর্থন ছাড়া এবং নানা চাপের মধ্যে নির্বাচন করেও এমন ফলকে চমক বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির জেলা–উপজেলা পর্যায়ের একাধিক নেতা।

সপ্তম ধাপে ৭ ফেব্রুয়ারি আরও ১৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট হবে। এই ধাপেও বিএনপির অনেক নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বলেন, কোনো কোনো ইউপিতে ক্ষমতাসীন দলের কোন্দল, বিভেদ ও বিদ্রোহী প্রার্থী থাকার সুযোগে নৌকার বাইরে কেউ কেউ জয় পেয়েছেন। এর সঙ্গে বিএনপির দলীয় কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এটা প্রার্থীদের ব্যক্তিগত বিষয়। এর সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।

২০১৪ সালে একতরফা দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করলেও স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। তবে ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বাধার মুখে অনেক জায়গায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। জাতীয় নির্বাচনের আগে-পরে আন্দোলনের সময় মামলার আসামি হয়ে বিএনপির অনেকে ছিলেন পলাতক। সেবার অনেক জায়গায় বিএনপি প্রার্থী দেওয়ার মতো কাউকে খুঁজে পায়নি। সব মিলে ৫৫৪টি ইউনিয়নে বিএনপির কোনো প্রার্থী ছিল না।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক