গাজীপুরে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের দখল নিয়ে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন জন নিহত এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দুই জন নিহতের তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় টঙ্গীতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের ছাউনিতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে যাদের পরিচয় জানা গেছে তারা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেলাল (৬০) ও বগুড়ার তাইজুল।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র ব্রাদার হাফিজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত তিন জন নিহত ও অসংখ্য লোক আহত হয়েছেন। আহতরা হাসপাতালে আসছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী শুক্রবার থেকে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে পাঁচ দিন ইজতেমা করতে চান মাওলানা সাদের অনুসারীরা। মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা তাদের এখানে ইজতেমা করতে দিতে চান না। এ জন্য আগে থেকে ইজতেমা মাঠ দখলে নেন জুবায়ের অনুসারীরা। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে চারদিক থেকে মাঠে প্রবেশ করতে থাকেন সাদের অনুসারীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে মাঠ ছেড়ে দেন জুবায়ের অনুসারীরা।
তাবলীগের মাওলানা জুবায়ের অনুসারী শুরায়ে নেজামের পক্ষের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, ভোরে ইজতেমার প্রস্তুতি কাজে থাকা, পাহারায় নিয়োজিত এবং ঘুমন্ত তাবলীগের সাথীদের ওপর হামলা চালায় কর্তৃপক্ষের লোকজন। এতে দুই জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
অন্যদিকে মাওলানা সাদ কান্দলভির অনুসারী তাবলীগের নিজামুদ্দিন পক্ষের সমন্বয়ক মোহাম্মদ সায়েম জানান, পাঁচ দিনের জোড় উপলক্ষে ময়দানে প্রবেশ করার সময় গত রাতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তাবলীগের সাথী বগুড়ার তাইজুল ইসলাম নিহত ও বহু সাথী আহত হয়েছেন।
তবে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান দুই জন নিহতের কথা জানিয়ে বলেন, ইজতেমা ময়দান এখন শান্ত আছে। ময়দান সাদ পন্থিদের দখলে আছে।