জমে উঠেছে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন। অন্যদিকে দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রার্থী হয়েছেন শিল্পমন্ত্রীর ছোটো ভাই আর, সাথে লড়ছেন আওয়ামী লীগেরই তিন নেতা।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের কেউ গত সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী আখতারউজ্জামানের পক্ষে কাজ করেছেন। আবার, পরাজিত হয়ে পরে সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির হয়েও যারা কাজ করেছেন তারাও আছেন লড়ছেন ভোটের মাঠে।
৮ মে প্রথম দফার উপজেলা ভোটের লড়াইয়ে আছেন তিনজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সাথে পাঁচজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। চলছে পথসভা, গণসংযোগ লিফলেট বিতরণসহ ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়া।
দ্বিতীয় ধাপে ২১শে মে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় নির্বাচন। ভোটে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের স্বজনদের ভোট থেকে সরে দাঁড়াতে শাসক দল আওয়ামী লীগের নির্দেশনার কারণে স্থানীয় নেতাকর্মীদের রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
দলীয় নির্দেশনা উপেক্ষা করে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দাঁড়িয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের ছোট ভাই ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল মজিদ মাহমুদ। তার, প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ কুমার রায় ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রঙ্গু।
চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল হক বলেন, মনোহরদী উপজেলা উত্তরাঞ্চলসহ সব অঞ্চলে আমার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে।
আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রিয়াশীষ কুমার রায় বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য জীবন দেবো কিন্তু তার কথা শুনবো না, বড় বড় স্লোগান দেবো, এটা হতে পারে না। এভাবে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়বে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল মজিদ মাহমুদ বলেন, আমি গতবার শ্রদ্ধা জানিয়েছি জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে। এবার যেহেতু নির্বাচনটি উন্মুক্ত এ কারণেই সুযোগটি নিয়েছি।
পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নের মনোহরদী উপজেলার প্রায় দুই লাখ ভোটারের মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি।