গতবারের চেয়ে এবার এইচএসসিতে ১ শতাংশ পাশের হার কমলেও প্রায় ৫০ হাজার বেশি জিপিএ পাঁচ অর্থাৎ মোট দেড় লাখ জিপিএ পাঁচ নিয়েই প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল।
মঙ্গলবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ৮৫ শতাংশ পাশের হার নিয়ে শীর্ষে রয়েছে সিলেট বোর্ড। সবচেয়ে কম পাশের হার ময়মনসিংহ বোর্ডে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, কয়েক বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের সুবিধা পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
২০২৪ সালের এইচএসি পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ গেলো সব বারের নিয়ম ভেঙেছে। ৩০ জুন পরীক্ষা শুরু হলেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কারণে কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন করা হয়। পরে সচিবালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মুখে বাকি থাকা পরীক্ষা নেয়া থেকে সরে আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ফল প্রকাশে চিরায়ত নিয়মে সরকার প্রধানের হাতে ফল তুলে দেয়া কিংবা ঘটা করে সংবাদ সম্মেলনও হয়নি।
বেলা ১১টায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক তপন কুমার সরকার ফলের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন। যেখানে গড় পাশের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। জিপিএ পাঁচ পাওয়া শিক্ষার্থী ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
সমন্বয়ক জানান পাশের হার কমেছে ২০২৩ সালের থেকে। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫। পাশের হার সবচেয়ে বেশি সিলেটে। যেখানে বন্যার কারণে দেরিতে শুরু হয়ে মাত্র তিন পত্রের পরীক্ষা হয়েছে। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের সুবিধা পেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এবারও অংশ নিয়েছে ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন শিক্ষার্থী। উত্তীর্ণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার জন। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠান ১৩৮৮, আর ফেল করা প্রতিষ্ঠান ৬৫টি।
এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ২১ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮১ দশমিক ২৪, কুমিল্লা বোর্ডে ৭১ দশমিক ১৫, যশোর বোর্ডে ৬৪ দশমিক ২৯, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭০ দশমিক ৩২, বরিশাল বোর্ডে ৮১ দশমিক ৮৫, সিলেট বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৩৯, দিনাজপুর বোর্ডে ৭৭ দশমিক ৫৬, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৬৩ দশমিক ২২, মাদ্রাসা বোর্ডে ৯৩ দশমিক ৪০ এবং কারিগরি বোর্ডে ৮৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিলো। এ ছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও নেয়া হয়নি।