বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে দেওয়ার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
শনিবার বিকেলে শহীদ মিনারে সমবেত ছাত্র-জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দেন নাহিদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আর এক মিনিটও এই সরকার থাকবে না। এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবিতে রোববার সারাদেশে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে বলে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়।
নাহিদ আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করবো। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা আমরা সবার সামনে হাজির করবো।’
আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে যা বললেন দুই সমন্বয়কআলোচনার প্রস্তাব নিয়ে যা বললেন দুই সমন্বয়ক
সকালে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ও মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে দুপুরের পর শহীদ মিনারমুখী যাত্রা শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সেখানে উপস্থিত হন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এক পর্যায়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
জমায়েত একদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়িয়ে পুরাণ ঢাকার চানখারপুল পর্যন্ত। পূর্বদিকে দোয়েল চত্বর ছাড়িয়ে ও উত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টাওয়ার পার করেছে জমায়েত।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে এই আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসা শুরু হয়। সরকারের হিসাব বলছে, সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৫০ জন মানুষ মারা গেছেন। তবে গণমাধ্যমগুলো বলছে এই সংখ্যা দুই শতাধিক। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শনিবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসার আগ্রহ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারপ্রধানের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।