রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে পুড়ে গেছে শত শত দোকান। দুবাই জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী আমির হোসেন জানান, ভোর ৪টায় খবর পেয়ে মার্কেটে আসেন তিনি। মার্কেট বন্ধ থাকায় সামান্য কিছু মালামাল সরাতে পারলেও সব সরাতে পারেননি। তার দুটি দোকানে দুই কোটি টাকার জুয়েলার্সের মালামাল ছিল বলেও জানান তিনি।
সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স আবু কাওসার বলেন, তার দোকানে দুই কোটি টাকার কাছাকাছি মালামাল ছিল। কিছু বের করা গেছে, তবে বেশিরভাগই দোকানে থাকায় আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
মার্কেটটিতে স্বর্ণের দোকান ছাড়াও কাপড়, প্লাস্টিকের মালামাল, ক্রোকারিজ ও ব্যাগের দোকান ছিল। সব কিছু হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করছেন র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
গতরাত পৌনে ৪টার দিকে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এর পর মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, কল্যাণপুর ও হেডঅফিস থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৭ ইউনিট।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ১৭ ইউনিট। ঘটনাস্থলে পানির সংকট দেখা দেওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পোহাতে হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।
ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, রাত পৌনে ৪টায় আগুনের সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। প্রথমে ৭টি ইউনিট কাজ করলেও আগুনের তীব্রতা বাড়ায় ইউনিট বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে প্রাথমিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
দুবাই জুয়েলার্সের মালিক আমির হোসেন বলেন, আমার দুটি জুয়েলার্সের দোকান ছিল। ভোড় ৪টায় খবর পেয়ে মার্কেটে আসি। তখনও আমার দোকানে আগুন লাগেনি। মার্কেট বন্ধ থাকায় মালামাল সব সরাতে পারিনি।
দুই দোকানে দুই কোটি টাকার জুয়েলার্সের মালামাল ছিল জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, মার্কেটের মোট ১৮টি সোনার দোকান ছিল। সবগুলো পুড়ে গেছে।
কৃষি মার্কেটে কাপড়ের দোকানি মাহবুব হাসান বলেন, তার দোকানে লাখ পাঁচেক টাকার মালামাল ছিল। প্রথমে হক বেকারিতে আগুন লাগে। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে যায়। মার্কেটে ৫০০ এর বেশি দোকান পুড়েছে।
রফিক নামে এক জুতার দোকানি বলেন, প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভেতরে ঢুকতে পারলে আগুনে এত দোকান পুড়তো না। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আমাদের। দোকান থেকে কিছুই বের করতে পারিনি। আজ আগুন পুড়ল শত শত ব্যবসায়ীর কপাল।