উচ্চ আদালতের আদেশের পর কোটাবিরোধী আন্দোলনের সুযোগ নেই মন্তব্য করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ বলা হয়েছে, সড়ক অবরোধ করে ভোগান্তি সৃষ্টি করলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার এক জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ: মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, রাস্তা বন্ধ করে কোটা বিরোধী আন্দোলন করলেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
জনগণের চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে আজ পুলিশ কঠোর অবস্থানে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, কোটা নিয়ে গতকাল আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনের আর কোনো অবকাশ নেই।
‘আমরা অনুরোধ করব, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি দেবেন না, অন্তত এই চার সপ্তাহ,’ যোগ করেন তিনি।
এরপরেও যদি আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে পুলিশ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে বলেও আন্দোলনকারীদের সাবধান করে দিয়েছেন মহিদ উদ্দিন।
কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র জারি করে সরকার। গত ৫ জুন সেই পরিপত্রের আংশিক অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এর ফলে সরকারি চাকরিতে আগের কোটা পদ্ধতি ফিরে আসে।
এরপরই হাইকোর্টের আদেশ বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ, দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করছেন তারা। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
এরি মধ্যে বুধবার হাইকোর্টের আদেশে এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ। এই সময়ে সরকারি চাকরিতে কোটা থাকবে না। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদেরও ক্লাসে ফিরতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
কিন্তু এসবের কিছুই মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তারা আগের মতোই অবরোধ-কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা এখন নতুন দাবি তুলেছেন যে, আদালত নয়, সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে।