কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ট
রোববার সকালে কোস্ট গার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় দেশ ও দেশের অর্থে কেনা প্রতিটি জিনিসের যত্ন নিতে কোস্ট কার্ডের প্রতি আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।
এসময় দেশাত্মবোধ, জনগণের প্রতি কর্তব্যবোধ নিয়ে দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ কোস্ট গার্ডের সদস্যদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ যেসব নৌযান কেনা হচ্ছে সেগুলোর যত্ন নিতে হবে। এসময় কোস্ট গার্ডের নবসংযোজিত ভিস্যাটনেট কমিউনিকেশন সিস্টেমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিন বলেন, ৭৫ এর পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া কেউই সমুদ্র সীমার অধিকার নিশ্চিত করেনি। আমরা সমুদ্র সীমার অধিকার নিশ্চিত করেছি। এখানকার সম্পদ দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। মিয়ানমার ও ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই সমুদ্রসীমার অধিকার অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করার মাধ্যমে কোস্টগার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে। বিশাল সমুদ্রের সম্পদ আহরণ করা আমাদের দায়িত্ব। এজন্য সুনীল অর্থনীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এজন্য আরো গবেষণা দরকার।
তিনি বলেন, প্রাচ্য-পাশ্চাতের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে পারে বাংলাদেশ। সেজন্য সমুদ্র উপকূলের নিরাপত্তা বিধান করা একান্তভাবে দরকার। সব বাহিনীকেই আধুনিক স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সারাবিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। মুদ্রাস্ফীতির চাপ পড়েছে বাংলাদেশে। সেজন্য এক কোটি পরিবারকে পারিবারিক কার্ড দেয়া হচ্ছে যাতে স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্ট না হয়। কারো কাছে হাত পেতে নয়, করুণা নিয়ে নয় আত্মমর্যাদা নিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলবে বাংলাদেশ।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে কোস্টগার্ডের সদর দপ্তরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। পরে শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে ভি-স্যাটনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা, নবনির্মিত পাঁচটি স্টেশন, ১টি আউটপোস্ট উদ্বোধন করেন।
এদিকে, বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক ও অসামরিক ব্যক্তিদের পদক দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ১০ জন করে পাচ্ছেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক, প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক এবং প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক।
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বর্তমানে দেশের সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় কাজ করছে। মৎস্য সম্পদ রক্ষা, বনজ সম্পদ রক্ষা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ রক্ষাসহ নানা কাজ বাহিনীটি করে যাচ্ছে।