বিএনপি চেয়ারপারসনে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা ও দেশের বিদ্যমান সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চেয়েছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকসহ আরও চারজন।
চিঠি থেকে জানা যায়, সৈয়দ ইবরাহিম ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের স্বাক্ষরিত চিঠিতে রাষ্ট্রপতির কাছে সাক্ষাতের আবেদন করা হয়েছে।
চিঠিতে তারা রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের সাংবিধানিক অভিভাবক ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক উল্লেখ করে বলেন, মানুষের কষ্টে আপনি বিচলিত হন, দেশবাসীর চিন্তা ও স্বপ্নকে আপনি লালন করেন এবং আপনি একজন দয়াবান স্বহৃদয় ব্যাক্তি। এই প্রেক্ষাপটেই আপনার বরাবর আমাদের বিনীত ও আন্তরিক আবেদন, আপনার শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও আমাদেরকে স্বাক্ষাতের সময় দিয়ে বাধিত করবেন। আপনার মহানুভবতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।
চিঠিতে সৈয়দ ইবরাহিম ও ক্বারী মো. আবু তাহের ছাড়াও যে তিন জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাড. সৈয়দ এহসানুল হুদা ও এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।
জানতে চাইলে এনডিপির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি বরাবরে আমরা সাক্ষাতের জন্য একটা চিঠি দিয়েছি। করোনার কারণে যেহেতু রাষ্ট্রপতির সাক্ষাতের জন্য কোভিড টেস্ট করতে হয়, সেজন্য একটু সময় লাগছে। তবে এখনও আমাদেরকে সাক্ষাতের সময় দেওয়া হয়নি। তিনি আশা করে বলেন, হয়তো শিগগিরই আমরা রাষ্ট্রপতির সাক্ষাত পাব।
আবু তাহের আরও বলেন, খালেদা জিয়া তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি, সাবেক সেনা প্রধান ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। সে কারণে একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী যদি মানবতার যে অধিকার আছে সেগুলো যদি উনি না পান, তাহলে সাধারণ জনগণ এই রাস্ট্রযন্ত্রের প্রতি যেভাবে আস্থা হারিয়ে ফেলতেছে, দিন দিন আরও আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আমার বিশ্বাস রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নিয়ে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। যেহেতু সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে। রাষ্ট্রপতি নিজ ক্ষমতা বলেই তা করতে পারেন। সেজন্য আমরা ওনার কাছে যেতে চাচ্ছি।