খুলনায় রাজু শেখ (৪০) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাত আটটার দিকে মহানগরের রায়েরমহলের হামিদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
রাজু শেখ ওই এলাকার তোরাপ শেখের ছেলে। তিনি সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন। দুই মাস আগে ওই মামলায় জামিনে মুক্তি পান রাজু। শাহাদাত হোসেন থানা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।বিজ্ঞাপন
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজু শেখ কারাগার থেকে বের পাওয়ার পর নগরের খালিশপুর এলাকায় অবস্থান করতেন। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে এসে বসবাস করতে শুরু করেন। সোমবার রাতে ঘটনার সময় তিনি হামিদনগর এলাকায় কয়েকজনের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে দুজন এসে তাঁর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার সোনালী সেন বলেন, নিহত রাজু শেখের নামেও মামলা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। আসামিদের আটকে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২০১৭ সালের ১৪ জুন ইফতারের পর বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেনসহ সাত থেকে আটজন নগরের রায়েরমহল এলাকার হামিদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী তাঁকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়েন। ঘাড়ে, হাতে ও বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত হোসেনের মৃত্যু হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন আরও অন্তত চারজন। ঘটনার পর ১০ জুন নিহতের ছেলে আল মামুন বাদী হয়ে হরিণটানা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় রাজু শেখকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।