খুলনায় একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়ার ৬ ঘণ্টা পর নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর রূপসা ট্র্যাফিক মোড় ইস্পাহানী গলি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর রূপসা ট্র্যাফিক মোড়ে অবস্থিত ড্যাপস্ হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তৃতীয় তলা থেকে ওই নবজাতক (ছেলে) চুরি হয়।
নবজাতকের মা ফারজানা বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। অপর পাশের বেডে নবজাতক তার নানির পাশে শুয়ে ছিলো। দুপুরে ঘুম থেকে উঠে শিশুটিকে না দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এ ঘটনার পর থেকে স্বজনরা কান্নাকাটি করেন।
নবজাতকের স্বজনরা জানান, মোংলা থেকে আসা সুজন ও ফারজানা দম্পতির চারদিন আগে শুক্রবার বেলা ১টায় সিজার অপারেশনে ছেলে সন্তান হয়। সোমবার দুপুরে তৃতীয় তলার ৩০৪নং কেবিন থেকে ওই নবজাতক চুরি হয়। পরে সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায় দ্বিতীয় তলায় ২০৩নং কেবিনে থাকা শাহাজাদী নামে এক রোগীর মা নার্গিস বেগম তৃতীয় তলা থেকে এক শিশুকে ঢেকে নিয়ে যাচ্ছে। তবে ওই সময় ওই নারী কাকে নিয়ে যাচ্ছে সেটি স্পষ্ট ছিলো না।
নবজাতকের বাবা সুজন বলেন, গণমাধ্যম, প্রশাসন ও চিকিৎসকদের সহযোগিতায় শিশুটিকে ফিরে পেয়েছি। খুব আনন্দ লাগছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (খুলনা জোন) শিহাব করিম বলেন, সংবাদ পেয়ে আসার পর প্রথমেই সিসি টিভি ফুটেজ চেক করি। আমাদের পুরো টিম কাজ করেছে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে এক নারীর চলাচলে সন্দেহ হয়। সেই সন্দেহের কারণে আমরা যাচাই-বাছাই করি। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে একাজের সঙ্গে জড়িত তিন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে আনা হয়। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রূপসার ট্র্যাফিক মোড়ের পাশ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করতে করা হয়।
চুরির কারণ জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা শিহাব করিম বলেন, ওই নারী প্রসূতির মা। তার মেয়েও একই হাসপাতালে আছেন। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তার মেয়ে শাহাজাদীর পরপর পাঁচটি কন্যা সন্তান হয়েছে। যার কারণে তার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে প্রায়ই ঝামেলা হয়। তাই তিনি ছেলে নবজাতককে চুরি করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।


















