খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হামলার বিচার, ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করাসহ ৫ দফা দাবি মেনে নিতে আজ বেলা ১ টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয় খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। এ সময় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এজন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তবে ছাত্রদল পাল্টা দায়ী করেছে ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদ।
রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, আমি তোমাদের দাবিগুলো মেনে নিচ্ছি। সবগুলোই পূরণ করে দেবো। কোনোটা বাস্তবায়ন করতে হয়ত একটু সময় লাগবে, সেই সময়টা চেয়ে নিচ্ছি। সব দাবি পূরণ করব ইনশাআল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, কুয়েটে ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে নৃশংস হামলা চালিয়েছে, এ হামলার ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থী এবং প্রশ্রয়দাতা শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে হত্যার চেষ্টা ও নাশকতার মামলা করতে হবে এবং জড়িত সবাইকে বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কুয়েটের ভেতরে ও বাইরে, কোনো প্রকার রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকতে পারবে না-এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আজীবন বহিষ্কার এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়েট শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ক্যাম্পাসের বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করতে এবং হামলায় আহত সবার চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয়ভার কুয়েট প্রশাসন থেকে বহন করতে হবে এমন দাবিও করেন শিক্ষার্থীরা।