কানপুর টেস্ট বৃষ্টিতে ভেসেছে আড়াই দিন। তারপরও সেই টেস্ট ম্যাচটি বাংলাদেশকে হেসেখেলেই হারিয়ে দিলো ভারত। যদিও এই হেসেখেলে হারানোর আগে বড় একটি ঝুঁকি নিয়েছিলেন রোহিত। শেষে সাত উইকেট এবং অন্তত ২৬৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় ভারত, সিরিজের ব্যবধান ২-০। শুরু থেকেই জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা ভারত শেষতক ছিল আক্রমণাত্মক। টেস্টে এমন জয়কে প্রশংসার ভাসিয়েছে কমেন্ট্রি বক্সও।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১৪৬ রানে গুটিয়ে গেলে ভারতের লক্ষ্য গিয়ে দাঁড়ায় মাত্র ৯৫। ধারণা করা হচ্ছিলো, প্রথম ইনিংসে তিন ওভারে ফিফটি করা রোহিতের দল দ্বিতীয় ইনিংসেও জয়কে বিলম্বিত করবেন না, হলোও তাই। ১৭ দশমিক দুই ওভারেই ভারতে জয়ের বন্দর পৌঁছে দেন জয়শওয়াল-কোহলিরা।
শুরুতে রোহিত ও গিলকে দ্রুত ফেরালেও থামানো যাচ্ছিলো না জয়শওয়াল ও কোহলিকে। শেষে রিশভকে নিয়ে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করেন বিরাট। তার আগে প্যাভিলিয়নে ফেরত গেছেন রোহিত, গিল ও জয়শওয়াল। তিনটি উইকেটের দুটি নেন মিরাজ ও একটি তাইজুল।
তবে বাংলাদেশের এমন হারে হতাশ হয়েছেন অনেকেই। ধারাভাষ্যকার হার্ষা ভোগলে তার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, সত্যি বলতে, বাংলাদেশের খেলা খুবই হতাশাজনক। পাকিস্তানে ফলাফলের পর আমি আরও অনেক কিছু আশা করেছিলাম। কিন্তু তারা অতিশয় আতঙ্কিত, বিশ্বাসে কম এবং দুই দিনের মধ্যে হেরে নিজেদের হতাশ করেছে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, দুই টেস্টেই আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। এই পরিস্থিতিতে আমাদের ভালো ব্যাট করতে হবে। আমাদের ব্যাটাররা ৩০-৪০ বল খেলে আউট হলেও অশ্বিন-জাদেজা দারুণ খেলেছে। এই ইনিংসে মুমিনুলের ব্যাটিং ভালো ছিল। আর বল হাতে দারুণ ছিলেন মিরাজ।
বিজয়ী ক্যাপ্টেন রোহিত বলেন, গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে খেলেছি এবং জানি তার মানসিকতা কী ধরণের। আড়াই দিন হারানোর পর আমরা চতুর্থ দিনে বাংলাদেশি ব্যাটারদের যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আউট করতে চেয়েছিলাম এবং দেখতে চেয়েছিলাম আমরা ব্যাট দিয়ে কী করতে পারি। প্রথম ইনিংসে আমরা ১০০-১৫০ রানে আউট হলেও এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন জয়শ্বি জয়শওয়াল এবং সিরিজ সেরা হয়েছে রবিচন্দ্র অশ্বিন।












The Custom Facebook Feed plugin