মিরপুরের কঠিন পিচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাকিস্তানের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে। বোলারদের নিয়ন্ত্রিত এবং দক্ষ পারফরম্যান্সের সঙ্গে পারভেজ হোসেন ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিং জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে।
২০১৬ সালে এশিয়া কাপে পাঁচ উইকেটে জেতার পর দেশে কিংবা দেশের বাইরে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এই জয়ে সেই খরা কাটলো এবং আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ জয় পেল বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য সহজ ছিল না। পাকিস্তানের তরুণ পেসার সালমান মির্জা প্রথম দুই ওভারে দুটি উইকেট তুলে নিয়ে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। তবে, ইমন এবং হৃদয়ের জুটি পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং লক্ষ্য তাড়াকে অনেক সহজ করে দেয়। ইমন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
এদি পাকিস্তানের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। দলের উইকেটকিপার মোহাম্মদ হারিসের জন্য দিনটি ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। তিনি দুটি সহজ ক্যাচ ফেলে দলকে চাপে ফেলে দেন। তবে, অভিষেক ম্যাচে সালমান মির্জার বোলিং ছিল দলের জন্য একমাত্র ইতিবাচক দিক।
মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯ ওভার তিন বলে ১১০ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন ফখর জামান। জবাবে খেলতে নেমে ১৫ ওভার তিন বলে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: ১৫.৩ ওভারে ১১২/৩ (পারভেজ ৫৬*, হৃদয় ৩৬, জাকের ১৫*, তানজিদ ১, লিটন ১; মির্জা ২/২৩, আব্বাস আফ্রিদি ১/১৬)।
পাকিস্তান: ১৯.৩ ওভারে ১১০ (ফখর ৪৪, আব্বাস ২২, খুশদিল ১৭; তাসকিন ৩/২২, মোস্তাফিজ ২/৬, তানজিম ১/২০, মেহেদী ১/৩৭)। ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী। সিরিজ: ৩–ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ১–০–তে এগিয়ে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: পারভেজ হোসেন।

















