ডেকলান রাইসের জোড়া গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে দিয়েছে আর্সেনাল। চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা।
মঙ্গলবার রাতে এমিরেটস স্টেডিয়ামে রিয়ালের জালে রাইসের জোড়া গোলের পর আরেকটি গোল করেনস মিকেল মেরিনো।
যদিও এদিন প্রথমার্ধ দুদল প্রায় সমান তালে খেলে। যেখানে প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম মিনিটেই আচমকা শটে চেষ্টা করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ৩০ গজ দূর থেকে শট লক্ষ্যেই রাখেন তিনি কিন্তু অনায়াসেই ফেরান আর্সেনাল গোলরক্ষক দাভিদ রায়া।
এরপর ষষ্ঠ মিনিটে বুকায়ো সাকার ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো বিপদ ডেকে আনছিলেন আন্টোনিও রুডিগার। তার শট কামাভিঙ্গার গায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়! পরের মিনিটে কর্নারে গোল হজম থেকে একটুর জন্য বেঁচে যায় রেয়াল। সাকার চমৎকার ইন সুইঙ্গারে টমাস পার্টির হেড গোললাইন থেকে ফেরে আর্সেনাল সতীর্থ উইলিয়াম সালিবার মাথায় লেগে!
প্রায় ৫৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে প্রথমার্ধে গোলের জন্য পাঁচটি শট নেয় আর্সেনাল, এর চারটি ছিল লক্ষ্যে। অন্য দিকে ছয় শটের কেবল দুটি লক্ষ্যে রাখতে পারে রেয়াল।
বিরতির পর রাইসের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। ৫৮তম মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রি কিকে কাছের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুজে নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া।
প্রবলভাবে চেপে ধরা আর্সেনাল ৭০তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ায়। আরেকটি দুর্দান্ত ফ্রি কিকে জাল খুঁজে নেন রাইস! পোস্ট ঘেঁষে যাওয়া তীব্র গতির শট ফেরানোর কোনো সুযোগই ছিল না কোর্তোয়ার।
বিপজ্জনক জায়গায় আর্সেনাল দুটি ফ্রি কিক-ই পায় সাকাকে ফাউল করায়। প্রথমবার তাকে ফাউল করেন আলাবা, পরেরবার কামাভিঙ্গা।
এদিকে পাঁচ মিনিট পর রিয়ালকে একরকম স্তব্ধ করে দেন মেরিনো। ডি বক্সের মাথায় মাইলস লুইস স্কেলির কাছ থেকে বল পেয়ে পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।
বাকি সময়ে গোলের তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারে কোনো দলই। উল্টো যোগ করা সময়ের শেষ দিকে হতাশা প্রকাশ করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কামাভিঙ্গা। প্রথম হলুদ কার্ডের জন্য এমনিতেও আগামী ১৬ এপ্রিল সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে দ্বিতীয় লেগে খেলা হতো না তার।