অবশেষে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্কোয়াড ঘোষিত হলো। এই স্কোয়াডে আছে দুই চমক। লিটন দাস আর শরিফুল ইসলামকে রাখা হয়নি এই স্কোয়াডে।
তামিম ইকবাল নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন এক দিন আগেই। সাকিব আল হাসানকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য বড় বাধার মুখে পড়তে হয়। শুধু ব্যাটার হিসেবে তাকে খেলানোর পথে হাঁটেনি বিসিবি। বিষয়গুলো আগেই জানা ছিল, তাই চমক হিসেবে আসেনি এগুলো।
চমকে হয়ে এসেছে লিটন দাস আর শরিফুল ইসলামের বাদ পড়াটা। শেষ এক বছর ধরে লিটন দাসের ব্যাট হাসেনি তেমন। সাদা বলের ক্রিকেটে তার ফিফটি মোটে একটা। সেই ফিফটি নিয়েও আছে বেশ সমালোচনা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেদিন ইনিংসের আদ্যন্ত ব্যাট করলেও দল জেতেনি, ম্যাচটা হেরে সেমিফাইনালের আশাও শেষ হয়ে যায়।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। সেই ফরম্যাটে আরও বিবর্ণ লিটন। ৫ ইনিংস ব্যাট করে করেছেন মোটে ৬ রান। বিপিএলেও খারাপ ফর্ম যাচ্ছিল তার। সবশেষ ম্যাচে যদিও ৭৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে বড় রান এনে দিয়েছিলেন। তবে তার আগে টানা তিন ইনিংসে তিনি আউট হয়েছেন এক অঙ্কে।
এমন ফর্মের কারণে তার ওপর ভরসা রাখেননি নির্বাচকরা। তার বিদায়ের ফলে স্কোয়াডে সুযোগ পেলেন অনভিষিক্ত পারভেজ হোসেন ইমন। জাতীয় দলের হয়ে ৭ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেললেও তিনি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেননি একটাও। তবে এরপরও লিটনের জায়গায় তাকেই বিবেচনায় রেখেছেন নির্বাচকরা।
এদিকে শরিফুল ইসলামও একই কারণে বাদ পড়েছেন। শেষ এক বছরে সাদা বলে তার গড় ৪০ এরও বেশি। এ সময়ে পেস ইউনিট আলো ছড়ালেও তিনি ছিলেন বিবর্ণ। সে কারণে তাকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। তার জায়গায় দলে ঢুকেছেন নাহিদ রানা। এছাড়া হাসান মাহমুদেরও জায়গা হয়নি এই স্কোয়াডে।
সব মিলিয়ে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ স্কোয়াডে ৪ পেসার ও ৩ স্পিনার আছেন। পেসার ৪ জন হলেন– তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাহিদ রানা ও তানজিম হাসান সাকিব। মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে স্কোয়াডে আছেন আরও দুই স্পিনার– নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন।












The Custom Facebook Feed plugin