ট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ৮শ বন্দিকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টিকাদান কার্যক্রম তদারকি করেন প্রধান অতিথি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কারাগারের ডিআইজি (প্রিজনস) একেএম ফজলুল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কারাধ্যক্ষ (জেলার) দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া, কারা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. শামীম রেজা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অফিসের স্টাফ অফিসার শাহাদাত হোসেন শাকিল প্রমুখ।
ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর জানান, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথম দিন ৮শ বন্দিকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। আমার জানামতে, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম কারাগারে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। কারাগারে ৭ হাজার ৮শ বন্দি রয়েছে। তাদেরকে বাদ দিয়ে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারি না। পর্যায়ক্রমে এখানকার অন্য বন্দিদের এবং অন্যান্য কারাগারেও টিকা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কারাবন্দিদের টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে হয়নি। বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া হচ্ছে। তাদের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ও যাদের এনআইডি আছে তার নম্বর রেখে টিকা দেওয়া হচ্ছে। কারাগারে থেকে যেসব বন্দি প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করেছে, তাদেরকে সেখানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। আবার যেসব বন্দি প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর জামিনে মুক্তি পাবে, তারা বাইরে থেকে কার্ড প্রদর্শন করে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারবে। এজন্য তাদেরকে একটি করে কার্ড দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে।
কারাবন্দি নুরুল আলম বলেন, কারাগারে থাকার কারণে এতদিন করোনার টিকা নিতে পারিনি। স্বাস্থ্য বিভাগের আন্তরিকতায় সুন্দর পরিবেশে টিকা দিতে পেরেছি।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অপরাধে আসামি হয়ে যারা নতুনভাবে কারাগারে আসবে তাদেরকেও টিকার আওতায় আনা হবে। করোনার টিকা দেওয়ার জন্য কারাগারের ভেতর দুটি কক্ষে আটটি বুথ করা হয়েছে। এখানে বন্দিদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে করোনার সংক্রমণ এড়াতে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দিদের সঙ্গে স্বজনের সাক্ষাৎ বন্ধ রয়েছে। তবে কারা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভেতর থেকে বন্দিদের স্বজনের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার সুযোগ রয়েছে।