রাত হলেই মর্টারশেল আর বোমার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত জনপদ টেকনাফ। প্রচণ্ড শব্দে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে এলাকার সব বয়সী মানুষদের।
মিয়ানমারের রাখাইনের মংডু, বুছিদং ও তার আশপাশে দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্য চলমান সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়েছে। সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
সীমান্তে থাকা বাংলাদেশিদের ভয়, কখন না জানি মর্টারশেল উড়ে এসে তাদের সব কিছু শেষ করে দেয়।
শুক্রবার দিবাগত রাতে টেকনাফের হ্নীলা, সাবরাংসহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা মিয়ানমারের সংঘর্ষের আওয়াজ পেয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে মিয়ানমার আকাশে ছড়িয়ে পড়া আগুনের লেলিহান শিখা ও সকালে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পেয়েছেন টেকনাফ সীমান্ত বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে সীমান্তের এপারের বাসিন্দাদের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
গত কয়েকমাস ধরেই ভারী অস্ত্রের শব্দ শুনছেন সীমান্তবর্তী টেকনাফের মানুষ। আর এই বিকট শব্দ ভেসে আসছে মিয়ানমার থেকে। নাফ নদী বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মাঝে বিশাল ব্যবধান তৈরী করলেও আক্রান্ত হওয়ার উৎকন্ঠা নিয়ে তাদের কাজ কর্ম সারতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের অনেকের দাবি, তারা বাংলাদেশ সীমানায় কাজ করতে যেতে ভয় পান।
রাতে যেমন মর্টারশেলের শব্দ পান একই অবস্থা দিনের বেলাতেও। কখনো থেমে থেমে কখনো বিরতিহীন ভারী অস্ত্রে শব্দ কানে আসছে এই পারের মানুষদের।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকার আর্মি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এরই মধ্যে সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর পোস্টগুলোর পতন হয়েছে। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যে অনেক এলাকারই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
মংডু টাউনশিপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। সেই গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ অবিরত আসছে এপারের সীমান্তের গ্রামগুলোতে। মংডু টাউনশিপের বিপরীতে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা।












The Custom Facebook Feed plugin