ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় বিগত কয়েক বছরে এটি সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। টানা বর্ষণ ও ভারতীয় উজানের পানিতে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকেল ৪টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের বিষয়ে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে
গতকাল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টির কারণে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, ডাক্তারপাড়া, মিজান রোড, কলেজ রোড, একাডেমি রোড, রামপুর শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ি এলাকা, নাজির রোড, পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
টানা বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতার কারণে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী ও খেটে খাওয়া শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। সড়কে রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন কম থাকায় পয়ে হেঁটে লোকজনকে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
এদিকে সীমান্তবর্তী তিন নদী মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়াতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানান নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, ফেনীতে সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে। মঙ্গলবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা এবছরের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

সরেজমিনে দেখা যায়, টানা বর্ষণে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক, একাডেমি, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ী, নাজির রোড, মিজান রোড, সদর হাসপাতাল মোড় ও পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার নিচু সড়কগুলো। দোকানপাটে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র।
ফেনী পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মো. বাতেন বলেন, অতিবৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি নেমে যাবে। ইতোমধ্যে পৌরসভার ৭টি টিম কাজ শুরু করেছে।


















