বৃহস্পতিবার , ২১ এপ্রিল ২০২২ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

চাঁদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় অধিগ্রহণের জমি ২০গুণ দাম বাড়ানোর চেষ্টার সত্যতা পেয়েছে দুদক

প্রতিবেদক

এপ্রিল ২১, ২০২২ ১০:০৬ অপরাহ্ণ

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে চাঁদপুরের সদর উপজেলার ১০নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খান সরকার নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে প্রায় বিশগুণ বাড়ানোর চেষ্টার সত্যতা পেয়েছে দুদক। বৃহস্পতিবার  দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয় সংস্থাটির সচিব সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

দুদক সচিব বলেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসন জমির মূল্য নির্দারণ করবেন তখন বিষয়টি ধরা পরে যে, সেলিম চেয়ারম্যন ১৩৯ জমির দলিল বেচা কেনার যে মূল্য দেখিয়েছেন তা সরকারের নির্ধারিত মৌজা  মূল্যের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। জমির মূল্যের তারতম্য প্রকাশ হওয়ার পরে সেলিম চেয়ারম্যান জমির মৌজা মূল্য বাড়ানোর যে চেষ্টা বা পরিকল্পনা করেছিরেন সেটি আর সফল হয়নি, এতে সরকারের প্রায় ৩৬০ ষাট কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। দুদক সচিব আরও বলেন, অভিযানকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ ও মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করার কথা জানিয়েছেন দুদক সচিব।

গত ৬ই এপ্রিল দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পত্তি অর্জন বিষয়ে চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সা’দাৎ-এর নেতৃত্বে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। জানা গেছে, অভিযানকালে দুদকের টিম চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মৌজায় চাঁদপুর-হাইমচর সড়কের পাশে মেঘনা নদী থেকে ৮০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত জমি সরজমিন পরিদর্শন করে। দুদক টিম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, বিআইডব্লিউটিএ ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে অভিযোগ সম্পর্কিত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। টিমের সংগৃহীত রেকর্ডপত্রে চাঁদপুর জেলার পদ্মা-মেঘনা নদী অংশে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতি-পরিবেশ বিনষ্টসহ রাজস্ব ক্ষতি এবং প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকারের বিরাট অঙ্কের অর্থ লুটপাটের দূরভিসন্ধি সম্পর্কে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে দুদক জানায়।।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক