০১৮ সালে যখন মাস্টার্সের (২০১৪ ব্যাচ) রেজাল্ট হয়েছিলো (সাত কলেজ) তখন সার্টিফিকেট অনুযায়ী আমার বয়স ২৭ বছর। তার মানে চাকরির নিয়োগ আবেদনের সুযোগ আছে মাত্র ±৩ বছর। এর ১.৫ বছর পর করোনা শুরু হয় ফলশ্রুতিতে সকল নিয়োগ সার্কুলার ও নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে তখন ১.৫ বছরের মধ্যে মাত্র ১টি এক্সাম এ (বিসিএস) অংশ গ্রহণের সুযোগ হয়। যদিও মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে বয়স ছাড়ের মূলা ঝুলানো হয়, তাতে ১.৫ মাস সময় বৃদ্ধি পায় কিন্তু সেই সময়ে তেমন কোনো সার্কুলারের দেখা পাওয়া যায়নি অধিকন্তু একই দিনে ২৫/৩০ টি পরীক্ষা নিয়ে প্রহসন করা হয়েছে, টাকা দিয়ে এপ্লাই করেও এক্সাম দেওয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়। যেখানে চাকরির নিয়োগে বয়স বাড়ানোর কথা সেখানে আমার বয়স ৩০ বছর থেকেও ২ বছর কমে গেছে, একটা রাষ্ট্রের তরুণ প্রজন্মের প্রতি এটাই কী রাষ্ট্রের ন্যায়বিচার?
বর্তমান চাকরি নিয়োগে যেই লেভেলের কম্পিটিশন হয় তাতে নুন্যতম ২/৩ বছর প্রিপারেশন না নিলে কোথাও কোয়ালিফাই করা মুশকিল, তার উপর প্রশ্ন ফাঁস ও দুর্নীতি করে নিয়োগ প্রদান তো গোদের উপর বিষফোঁড়ার ন্যায় আছেই। এতো প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠে একজন কেন্ডিডেট যখন কাঙ্ক্ষিত যোগ্যতা অর্জন করে তখন তাঁর স্বপ্ন ৩০ এর গণ্ডিতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। সঙ্গত কারণেই চাকরিতে নিয়োগের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি।
দীর্ঘদিন যাবত বয়স বৃদ্ধির আন্দোলন হলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বরাবরই নির্বিকার। এমনকি কয়েকদিন পূর্বে আন্দোলনকারীদের রাজপথে কুকুরের মতো পেটানো হয়। আজকে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী সাহেবের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করতে গেলে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে আটক করানো হয়। এটা কোন ধরনের জাস্টিস? আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অতিসত্বর চাকরির বয়সসীমা বৃদ্ধি করার জোর দাবি জানাচ্ছি।