তবে আগামী ২০ মার্চ এরশাদের জন্মদিনে স্বাস্থ্য, সাহিত্য, কৃষি, সংগীত, শিক্ষা, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্রীড়া এবং শিল্প খাতে অবদান রাখার জন্য দেশের আট ব্যক্তিকে ‘পল্লীবন্ধু পদক-২০২১’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পার্টি।এই পদকে যে আটজন মনোনীত হয়েছেন, তাদের নাম প্রকাশ করেছে দলটি।
যে আটজন মনোনীত হলেন- স্বাস্থ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাহিত্যে কবি ফজল শাহাবুদ্দিন (মরণোত্তর), কৃষিতে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, সংগীতে প্রখ্যাত এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শিক্ষায় অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনাবিদ ইঞ্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম সিদ্দিক (মরণোত্তর), ক্রীড়ায় বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ গোলাম সারওয়ার টিপু, শিল্পে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আব্দুল ওয়াহেদ বাবুল।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব নাম ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।
জিএম কাদের বলেন, আগামী ২০ মার্চ আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা জাতীয় পার্টির মহান প্রতিষ্ঠাতা, নয় বছরের সফল রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন। গত বছর ২০ মার্চ যথাযথ সম্মানের সঙ্গে পল্লীবন্ধুর জন্মদিন পালন এবং পল্লীবন্ধু পদক-২০২১ দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি সংবলিত নিষেধাজ্ঞার জন্য তখন সেটি সম্ভব হয়নি। সে কারণে আগামী ২০ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ অনুষ্ঠানটি উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আমাদের জন্য রেখে গেছেন তার অমর কীর্তি ও অসামান্য কর্ম। দেশকে নিয়ে তার ছিল অনেক স্বপ্ন। এখনো বাকি অনেক অসম্পূর্ণ কর্মসূচি। সামনের দিনগুলোতে সেসব বাস্তবায়নের প্রয়াস থাকবে আমাদের।
জিএম কাদের বলেন, পল্লীবন্ধু জাতীয় পার্টি নামের একটি রাজনৈতিক সংগঠন সৃষ্টি করে আমাদের মতো কর্মীদের রাজনীতির আশ্রয়স্থল করে দিয়ে গেছেন। তার বিনিময়ে আমরা হয়ত পল্লীবন্ধুর জন্য কিছুই করতে পারিনি। সেই আত্মোপলব্ধি থেকে এবার আমরা মহান রাষ্ট্রনায়ক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মৃতিরক্ষার একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস হিসেবে ‘পল্লীবন্ধু পদক’ প্রবর্তন করেছি। প্রতিটি পদকের সঙ্গে একটি উত্তরীয়, একটি ক্রেস্ট, একটি সম্মাননাপত্র এবং এক লাখ টাকা সম্মানি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রের প্রশাসনিক সংস্কার ও সার্বিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সংস্কারের সুবিধা সম্প্রসারিত করেছিলেন। পল্লীবন্ধুর কর্মকাণ্ড এতই বিস্তৃত যে, সব ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা পদক দিতে পারলাম না। এবার আটটি বিষয়ে পদক ঘোষণা করেছি। এর মধ্যে আছে স্বাস্থ্য, সাহিত্য, কৃষি, সংগীত, শিক্ষা, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্রীড়া এবং শিল্প। এসব ক্ষেত্রে রয়েছে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অসামান্য কৃতিত্ব ও সাফল্য। আগামীতে এ পুরস্কারের পরিধি আরও প্রসারিত করার ইচ্ছে রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, এসএম ফয়সাল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শেরীফা কাদের এমপি, এমএম নিয়াজ উদ্দিন, ড. মেহজেবুন নেসা টুম্পা, হেনা খান পন্নী, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, মোস্তফা আল মাহমুদ, তারেক এ আদেল, যুগ্ম মহাসচিব ইকবাল হোসেন তাপস, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাখন সরকার, এমএ রাজ্জাক খান, ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, অ্যাডভোকেট সাকিব রহমান, মিজানুর রহমান মিরু, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সারা শাওলিন দিশা।