জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের আদেশের জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেছে আদালত।
রোববার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
দুদকের আইনজীবী জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ একাউন্টেই জমা রয়েছে। সেই অর্থ হাতবদল বা চেক হস্তান্তরের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এই রায় দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ খালেদা জিয়ার আইনজীবীর।
এর আগে ২০১৮ সালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। পাশাপাশি অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর আসামিদের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মামলার বাকি চার আসামি হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়াসহ তিন আসামি।