কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা কুবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উদ্দেশে রওনা দিলে যাবার পথে আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন রাস্তায় পুলিশরা তাদের বাধা দেয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা পুলিশের সামনেই শ্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশের সাথে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে এসময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী গণমাধ্যমে জানান, আহত দুইজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
এই মুহূর্তে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্রে করে ক্যাম্পাসটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র জারি করে সরকার। গত ৫ জুন সেই পরিপত্রের আংশিক অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এর ফলে সরকারি চাকরিতে আগের কোটা পদ্ধতি ফিরে আসে।
এরপরই হাইকোর্টের আদেশ বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। গত রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ, দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করছেন তারা। এতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
এরি মধ্যে বুধবার হাইকোর্টের আদেশে এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছে আপিল বিভাগ। এই সময়ে সরকারি চাকরিতে কোটা থাকবে না। কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদেরও ক্লাসে ফিরতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
কিন্তু এসবের কিছুই মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তারা আগের মতোই অবরোধ-কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা এখন নতুন দাবি তুলেছেন যে, আদালত নয়, সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা আসতে হবে।


















