টাঙ্গাইলে ‘ছাত্র প্রতিনিধি’ পরিচয়ে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে ২০ ব্যক্তিকে নিয়ে প্রবেশ করেছেন সাবেক ‘সমন্বয়ক’ মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি।
শনিবার (৮ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইল সদরের ছোট কালিবাড়ি এলাকায় অবস্থিত বাড়ির তালা ভেঙে প্রবেশ করেন মিষ্টি। ওই ব্যক্তিরা সবাই ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে দাবি করেছেন তিনি। জানান, বাড়িটি তাদের জন্য আশ্রম তৈরি করবেন।
মিস্টি জানান, এ ব্যাপারে ফেসবুকে আগে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের সব নেতাদের বাড়িতে পাগলদের আশ্রম গড়ে তোলা হবে। তাই আজ সকালে এসে তালা ভেঙে এই বাসায় প্রবেশ করি। এখানে আল মুকাদ্দাস ফাউন্ডেশনের ২০ জন পাগলদের রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জেয়াহেরুল ইসলামের পক্ষ থেকে একজন লোক বাসা না ভেঙে আশ্রমের প্রস্তাব দেয়। এখানে সেই আশ্রমই করা হয়েছে। তবে কে বলেছে তার নাম বলতে পারেনি।
এদিকে আবাসিক এলাকায় ‘মানসিক ভারসাম্যহীনদের’ আশ্রমের ঘোষণায় অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের ২০১৮ সালে টাঙ্গাইল-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বা চিত হয়েছিলেন। পাঁচ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। গত ছয় ফেব্রয়ারি বাড়িটিতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে বাড়িটিতে আর কোনো লোক দেখা যায়নি। তবে প্রধান ফটকে তালা দেওয়া ছিল।
এদিকে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক হিসেবে মিষ্টির নাম থাকলেও গত বছরের ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয়ভাবে সারাদেশের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করা হয়। পরে টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে জায়গা হয়নি মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টির। তিনি নিজেকে বর্তমানে ‘ছাত্র প্রতিনিধি’ হিসেবে দাবি করেছেন।
অন্যদিকে, আন্দোলনকালীন সমন্বয়ক টিমে থাকা কারো কোনো কর্মকাণ্ডের দায়ভার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্তমান কমিটির নেবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।