তীব্র গরমে দুর্ভোগ নেমে এসেছে দেশের শহরাঞ্চল ও গ্রামীণ জনপদে। গরমের কারণে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বহু মানুষ। হাঁসফাঁস অবস্থা গবাদি পশুরও। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছেন খামারিরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সহসাই কমছে না তাপদাহ। সারাদেশে বয়ে যাওয়া তীব্র গরম আরও বাড়বে। মে মাসেও থাকবে তাপদাহ।
ঢাকা
তাপের ঊর্ধ্বমুখী পারদে ওষ্ঠাগত রাজধানীবাসীর প্রাণ। ঢাকার প্রতিটি হাসপাতালে রোগীর ভিড় বেড়েই চলেছে। হঠাৎ ঢাকার তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, এই গরমে ৩ থেকে ১২ বছরের শিশুরা সবচেয়ে বেশি ভুগছে নিউমোনিয়ায়। এছাড়া আমাশয়, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিসসহ বিভিন্ন রোগ নিয়েও শিশুরা হাসপাতালে আসছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হলে আরও ঝুঁকি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এই গরমে বাইরে বের হলেই ছাতা ও স্যালাইনযুক্ত পানি গ্রহণের পরামর্শ চিকিৎসকদের।
শনিবার রাজধানীতে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
যশোর
এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। গত সাত দিন ধরে যশোরে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। বেলা বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপ। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে বিপাকে পড়ছেন শ্রমজীবী মানুষ।
শনিবার বিকেলে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়।
চুয়াডাঙ্গা
অসহনীয় গরমের অসুস্থ হচ্ছেন আরেক গরম প্রবণ জেলা চুয়াডাঙ্গার মানুষ। বেশিরভাগই আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়।
শনিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি। এর আগে, ২০১৪ সালে এই জেলার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করার কথা জানা যায়।
রাজশাহী
রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়েও বইছে তাপদাহ। স্বস্তি পেতে সুযোগ পেলেই মানুষ পুকুর বা যে কোনো জলাশয়ে শরীর ভেজাচ্ছেন।
শনিবার বেলা ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বরিশাল
এদিকে বরিশালেও দাপুটে তাপে কাজে নামতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ। হাসপাতালেও ভিড় বাড়ছে।
শনিবার বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাঙ্গাবালী
টানা গরমে পুড়ছে পটুয়াখালীর উপকূলীয় রাঙ্গাবালীর বিস্তীর্ণ জনপদ। হাঁসফাঁস অবস্থা গবাদিপশুরও। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পশু খামারিরা।
নওগাঁ
নওগাঁয় ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নেয়ার পাশাপাশি ঠান্ডা জাতীয় খাবার খাওয়ানো পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।