সিলেটে ওয়াজ মাহফিল আয়োজনের নামে মিথ্যা প্রচারণা ও সম্মানহানির অভিযোগে আলোচিত ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর করা মামলা তদন্ত করবে পিবিআই।
বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আবুল কাশেম এ নির্দেশ দেন।
গত ২৪ মার্চ দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে মামলার আবেদন করেন তাহেরী।
মামলার আসামিরা হলেন, সিলেটের বালাগঞ্জ পৈলনপুরের মইনুল ইসলাম, হাফিজ মুজিবুর রহমান, মসজিদের ইমাম ও খতিব ক্বারি জয়নাল আবেদীন, সিলেট অনলাইন টিভি নবীগঞ্জের রাজু আহমদ, ফেসবুকে লাইভ ও শেয়ারকারী নবীগঞ্জ সদরঘাটের শেখ শাহজাহান, হবিগঞ্জ লাখাই মুড়াকুড়ির আব্দুল কুদ্দুছ নুরী, তপু তরফদার, নিজাম আহমেদ আকরাম, নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী, একে মিডিয়া সিলেট, নবীগঞ্জের দেওপাড়া সাতাইল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে হাফিজ কামরুল ইসলাম জালালি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া তুলাই শিমুল গ্রামের শেখ রাসেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চারগাছ গ্রামের আবদুল ফরহার ছেলে মোরশেদ শাহ, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার গুমগুমিয়া গ্রামের খালেদ আহমদের ছেলে এসএ শামিম ও টিটিভি।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ইসলামি বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর সঙ্গে কোনোরকম যোগাযোগ না করেই অপপ্রচার চালায় ইসলামি সুন্নি মহাসম্মেলনের আয়োজকরা। গত ২২ মার্চ সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার পৈলনপুরের এই সম্মেলনে তাহেরী হাজির থাকবেন বলে প্রচার করা হয়। মাহফিলের পোস্টারেও তার নাম ছাপানো হয়। মাহফিলে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাহেরীর পিএস দাবিদার এক ব্যক্তিকে মাহফিল কমিটি ৩৩ হাজার টাকা দিয়েছে বলে দাবি করে। তবে ওই ব্যক্তিকে তিনি চেনেনই না বলে দাবি করেন তাহেরি।
তাহেরি আরও অভিযোগ করেন, মাহফিলের আয়োজকরা ফেসবুক ও ইউটিউবে তার নামে নানারকম অপপ্রচার ও কুৎসা রটনা করে। তার বিরুদ্ধে মিছিল করে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় আয়োজক কমিটি। তারা সিলেটে তাকে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করে তারা। এতে তার মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাহেরি।
এদিকে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, মাহফিলে আসা বাবদ দুই ধাপে তাহেরীকে অগ্রিম ৩৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। এমনকি আগের দিন মাহফিল পরিদর্শনও করে গিয়েছিলেন তাহেরীর এক সহকারী। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।