থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের থাইল্যান্ড সফরে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই সফরের মাধ্যমে ৫২ বছর পর থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধান সফর করছেন। আর চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম বিদেশ সফর।
বুধবার সকাল ১০টার পর তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন।
স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে ফ্লাইটটি ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে প্রধানমনন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেবে থাই সরকার।
ছয় দিনের এই সফরে জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের ৮০ তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। সফরে বেশ কয়েকটি চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে; সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন জাতিসংঘের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন ইউএনএসক্যাপ-এর ৮০তম অধিবেশনে। সেখানে বক্তৃতা করবেন তিনি। একইদিন প্রধানমন্ত্রীর বেশকয়টি সৌজন্য সাক্ষাতের কর্মসূচিও রয়েছে।
২৬ এপ্রিল ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সাথে শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি ও পর্যটন সহযোগিতা, শুল্ক সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত সম্মতিতে সইয়ের কথা রয়েছে।
পরে থাই রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সাথেও সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। যেটিকে দুই দেশের সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন বলে মনে করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এই সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্য অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়নসহ নানা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বিস্তারিত আলোচনা হবে।