এবার বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ডাকাতি করেছে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। সেখানে ব্যাপক গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে।
রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে অস্ত্রসহ লুটপাট ও ম্যানেজারকে অপহরণের ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে দিনদুপুরে দুই ব্যাংকে হামলার ঘটনা ঘটলো।
পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতেই এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার ভরদুপুর সোয়া একটার দিকে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় এ ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি চালাতে চালাতে ব্যাংক দুটির শাখায় প্রবেশ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
থানচি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অং প্রু ম্রো বলেন, শাহজাহানপুরের দিক থেকে তিনটি চাঁন্দের গাড়িতে করে সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে বাজার এলাকায় প্রবেশ করে।
এ ঘটনার পর পর বান্দরবান জেলার সব ব্যাংকের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুই শাখা থেকে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা লুটে নেওয়া হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুন।
এর আগে মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে ৭০ থেকে ৮০ জনের একটি সশস্ত্র দল রুমাতে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায়।
ম্যানেজার উদ্ধারে ও পাহাড়ি সন্ত্রাসী ধরতে যৌথ অভিযানম্যানেজার উদ্ধারে ও পাহাড়ি সন্ত্রাসী ধরতে যৌথ অভিযান
সন্ত্রাসীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে ১৪টি অস্ত্র লুট করে এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ব্যাংকে ডাকাতির সঙ্গে পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা জড়িত বলে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।