কিছু মানুষ নিজেদেরকে বুদ্ধিমান ও দেশপ্রেমিক মনে করেন, আর সমগ্র জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের বিজয় অনেক প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। রক্তে ভেসে গেছে বাংলাদেশের রাজপথ। দেশের মানুষ বারবার দেশমাতৃকার জন্য প্রাণ দিয়েছে। তার ফলশ্রুতি কি এই বাংলাদেশ? আজকে তিন মাসও যায়নি রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ! কেন এই ভয়াবহ হিংসা? সমস্যা কোথায়? আর কত এই বিভাজন?
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে চিকিত্সকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, ড্যাবের সাবেক সভাপতি একেএম আজিজুল হক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ধর্মকে কেন্দ্র করে কী উন্মাদনা শুরু হয়েছে? এটা কি চিন্তা করতে পারেন? গত কয়েকদিনের ঘটনায় আমরা অত্যন্ত চিন্তিত, উদ্বিগ্ন এবং আতঙ্কিত। বাংলাদেশকে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? আমাদের সবাইকে দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন কথা বলতে হবে। আজকে কিছু মানুষ নিজেদেরকে বুদ্ধিমান ও দেশপ্রেমিক মনে করেন। আর গোটা জাতিকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ অন্যান্য মিডিয়াতে যে ধরনের আক্রমণ শুরু হয়েছে তার নিন্দা জানাই। যে মিডিয়ার স্বাধীনতার জন্য সারাজীবন লড়াই করলাম সেখানে জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এই বাংলাদেশ আমি কখনও দেখতে চাইনি। আগেও না। কারো দ্বিমত থাকতে পারে, কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা জীবন দিয়ে রক্ষা করতে হবে। এটাই গণতন্ত্র। আমরা এক ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছি কারণ সে আমার গলা টিপে ধরেছে। অতএব ভেবে-চিন্তে কাজ করতে হবে।