ভাতা বৃদ্ধি ও বকেয়া পরিশোধসহ চার দফা দাবিতে চতুর্থ দিনের মতো ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। এতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
ধর্মঘটের প্রথম দুইদিন বিভিন্ন বিভাগে জরুরি সেবা দেওয়া হলেও বুধবার থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে সব ধরণের চিকিৎসাসেবা। একই দাবিতে দেশের আরো কয়েকটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ধর্মঘটের খবর পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেছেন, ধর্মঘটে চিকিৎসা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হলেও বিকল্প উপায়ে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
তবে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।
এদিকে মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও চার দফা দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
চট্টগ্রামের চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। এরকমই একজন বোয়ালখালী উপজেলার ৭৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ সেকান্দার। ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে গত তিনদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
তার স্বজনরা জানালেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কাজ বন্ধ রাখায় খুব কম সেবা পাচ্ছেন তারা। আর সেকান্দারের মতোই পর্যাপ্ত সেবা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতালে ভর্তি অন্য রোগীরা।
ধর্মঘটে চিকিৎসকরা, দ্বারে দ্বারে ঘুরে মারা গেলেন রোগীধর্মঘটে চিকিৎসকরা, দ্বারে দ্বারে ঘুরে মারা গেলেন রোগী
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় তিনশো। বর্তমানে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক মাসিক ভাতা পান ১৫ হাজার টাকা। ভাতার পরিমাণ ৩০ হাজার টাকা করার দাবি তাদের।
আর এর সঙ্গে বকেয়া পরিশোধসহ মোট চার দফা দাবিতে সোমবার থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন তারা, বিরত রয়েছেন চিকিৎসাসেবা দেয়ার কার্যক্রম থেকে।