বুধবার , ৯ আগস্ট ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

নতুন ঠিকানায় ১২ জেলার ২২ হাজার গৃহহীন পরিবার

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ৯, ২০২৩ ১:০৭ অপরাহ্ণ

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নতুন ১২ জেলায় ১২৩টি উপজেলায় জমিসহ নতুন ঘর পেয়েছেন ২২ হাজার ১০১টি পরিবার। প্রকল্পটির চতুর্থ পর্যায়ের ষষ্ঠ ধাপে অবশিষ্ট পরিবারকে জমিসহ ঘর দেওয়া হলো আজ। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে সারাদেশে দুই লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১টি পরিবারকে দুই শতক করে খাসজমিতে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের তিনটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হস্তান্তর উদ্বাধন ও ১২ জেলা ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, চতুর্থ পর্যায়ের ষষ্ঠ ধাপে হস্তান্তর করা ঘরগুলোতে এক লাখ ১০ হাজার ৫০৫ জন মানুষ মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলো। তিন বছরে ১২ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে, যেটি শুরু হয়েছিল ২০২০ সাল থেকে।

শেখা হাসিনা বলেন, মানুষ উন্নত ভবিষ্যৎ পাবে সেটাই ছিলো জাতির পিতার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণে মানুষকে উন্নত জীবন দিতেই চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, জিয়াউর রহমানের ধারাবাহিকতায় জনগণের ভোট চুরি করে খালেদা জিয়া, এরশাদ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সংসদে বসায়। এভাবেই তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা করতো। শুধু আমাদের আঘাত দেয়া জন্য খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করতো।

প্রধানমন্ত্রী জানান, মুুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীরনিবাস, বস্তিবাসিদের জন্য ফ্ল্যাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। জলবায়ু উদ্বাস্তু, কুষ্ঠরোগী, বেদে সম্প্রদায়, ভিক্ষুক, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরও পুনর্বাসন করা হচ্ছে। তাদের জীবন পাল্টে গেছে। প্রতিটি শ্রেণির একটি মানুষও যেন অযত্নে অবহেলায় না থাকে সেটাই লক্ষ্য। যে মানুষগুলোকে জাতির পিতা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন।

তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বের মতো মুদ্রাস্ফীতির আঘাত বাংলাদেশেও। সেজন্য এক কোটি পরিবারকে পারিবারিক কার্ড দিচ্ছি। তারা যেন স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারে। দ্রব্যমূল্যের চাপে কষ্ট না পায় সেজন্য সরকার এ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে নারী-পুরষের সমান অধিকার নিশ্চিতসহ জীবিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে। নিজ আঙ্গিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিনামূল্যে দেওয়া পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। পাশাপাশি নিজের আঙ্গিনায় যার যতটুকু সামর্থ্য চাষাবাদ করবেন।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। আর বিরোধী দল আছে যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, হত্যা করে। ৭৫ এর পর গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিলো। গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোট, ভাতের অধিকারের জন্য আওয়ামী লীগ সংগ্রাম করেছে। আজ জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি বোমা, গ্রেনেড হামলা ছাড়া কিছুই বোঝে না। মানুষের জন্য তাদের চিন্তা নাই। বিএনপি এখনও মানুষকে জিম্মি করে লুটপাট করার চিন্তা করে।

এদিন ১২টি জেলার সব উপজেলাসহ সারাদেশের ১২৩টি উপজেলা গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের ২১টি জেলার সব উপজেলাসহ ৩৩৪টি উপজেলার সব ভূমিহীন-গৃহহীন পুনর্বাসিত হলো। এর আগে দুই দফায় আরও ৯টি জেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার ভূমিহীন-গৃহহীন ঘোষণা হওয়া ১২টি জেলা হলো- পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নওগাঁ, নাটোর, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।

তার মধ্যে পাবনায় ৬৪৬, নোয়াখালীতে ৪১৮, মানিকগঞ্জে ২২৭, কুষ্টিয়ায় ১৬০, নাটোরে ৫৬৭, নওগাঁয় ২০২, ঠাকুরগাঁয়ে ৭৫১, দিনাজপুরে ৪৪৫, ময়মনসিংহে ৭৯৫, শেরপুরে ১৩৫, রাজবাড়িতে ১৩, পিরোজপুরে ৬১৯ এবং ঝালকাঠিতে ১৮৫টি ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশের ১২ জেলা গৃহহীন-ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।

আর আগে দুই দফায় ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত জেলাগুলো হলো- মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা ও মাগুরা।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ অন্য প্রকল্পের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৪১ লাখ ৪৮ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ পুনর্বাসিত হয়েছে। শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসিত হয়েছে ২৮ লাখ মানুষ। আর মুজিববর্ষের বিশেষ কর্মসূচির মাধ্যমে পুনর্বাসিত হয়েছে ১১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৫ জন ছিন্নমূল মানুষ, যাদের জন্য দুই লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৭ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

শুধু গৃহহীন-ভূমিহীন নয়, সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকেও দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর। এর মধ্যে মান্তা সম্প্রদায়, বেদে সম্প্রদায়, হিজড়া সম্প্রদায়, কুষ্ঠ রোগীদের জন্য রংপুরে বান্দাবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্প, তিন পার্বত্য জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবারের জন্য বিশেষ নকশার ঘর, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় কয়লা খনির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে পুনর্বাসন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (রাখাইন) পরিবারের জন্য বিশেষ নকশার টংঘর নির্মাণ, ভিক্ষুক পুনর্বাসন, হরিজন সম্প্রদায়, বাগদী সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী পরিবার, জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে ঘর করে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক