কোটা আন্দোলন গিরে ব্যাপক নাশকতার মধ্যে রাজধানীতে সেতু ভবনে আগুন ও লুটপাটের ঘটনায় যুবদলের সাবেক সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
লন্ডন থেকে নির্দেশ পেয়ে গ্রেপ্তারকৃতরা শহরের বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় আগুন দেয়ার পর লুটপাট চালায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এই তাণ্ডবের সাথে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ।
গেলো ১৯ জুলাই কোটা আন্দোলনের সুযোগে বনানীর প্রায় সবগুলো সরকারি স্থাপনায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। আগুন দেয়া হয় সেতু ভবনেও। দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে যায় পুরো ভবন। জ্বালিয়ে দেয়া হয় ভবনের নিচতলায় থাকা সবগুলো গাড়ীতে।
এরপর শুরু হয় লুটপাট। ভবনের মূল্যবান সব সামগ্রীই লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা। যে প্রতিষ্ঠানের হাত ধরে গড়ে উঠেছে পদ্মা সেতুসহ দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার কর্মযজ্ঞ, সেই সেতু ভবন এখন পোড়া কঙ্কাল।
ডিবি পুলিশের হাতে আসা ফুটেজে দেখা যায় রাকিব নামের এক তরুণকে সেতু ভবনের ভেতরে লুটপাটে অংশ নিতে দেখা যায়। ভবনের নিরাপদ কোন জায়গা থেকে এই ছবি ধারণ করেন কোন এক ব্যক্তি। পরে তা ডিবি পুলিশের হাতে এলে রাকিব এবং তার সাথে থাকা খাজা মিয়াকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, সেতু ভবনে আগুন লাগানো ও লুটপাটের নির্দেশ দাতা হিসেবে যুবদলের সাবেক সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে সামিসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা এ ঘটনার সাথে জড়িত।
ডিবি প্রধান বলেন, লন্ডন থেকে নির্দেশ পেয়ে গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি নেতারা সেতু ভবনসহ বিভিন্ন সরকারী স্থাপনায় নাশকতা করেছে। যার প্রমাণ রয়েছে ডিবির হাতে।