নির্বাচনের আগে রাষ্ট্র সংস্কার চায় গণফোরাম। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপের পর এ কথা জানিয়েছেন দলটির সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন মন্টু।
শনিবার বিকাল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট কোনো সময় বলিনি। বলেছি অতি দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের কথা। তবে নির্বাচনের আগে সংস্কার করতেই হবে। সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়। কারণ ক্ষমতায় গেলে আমরা সবাই রাবণ হয়ে যাই।
এছাড়া গণ ফোরামের পক্ষ থেকে আরও কিছু দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্টু।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে; পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে হবে; অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভালো লোককে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে- এসব বিষয় বলেছি আমরা।
আমরা সরকারকে সার্বিক সহযোগিতা করবো উল্লেখ করে মন্টু বলেন, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) যেকোনো বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা চাইবেন। আমরা যেটা উপলব্ধি করবো, সেটাই পরামর্শ দেবো। জনগণের জন্য দরজা খোলা আছে বলে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের বলেছেন।
এর আগে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে শনিবার ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন। এতে প্রথমে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গণফোরামের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- গণফোরামের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান মোস্তফা মহসীন মন্টু, কো-চেয়ারম্যান এস এম আলতাফ হোসেন, সুব্রত চৌধুরী, সদস্য সচিব মিজানুর রহমান, সদস্য এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, মোশতাক আহমেদ ও সুরাইয়া বেগম।
এদিন আরও ছয়টি দল ও জোট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), লেবার পার্টি, ১২ দলীয় জোট, আন্দালিব রহমান পার্থর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও গণতান্ত্রিক মুক্তি কাউন্সিল। তবে বরাবরের মতো এবারও ডাকা হয়নি বিগত সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে (জাপা)।