রোববার দিনগত রাত ১২টার পর শেষ হয়েছে সাগর ও নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। দীর্ঘদিন পর রাত থেকে স্বপ্ন নিয়ে নদী ও সমুদ্রে নেমেছেন জেলেরা। তাদের আশা, কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা মিলবে।
শেষ এক সপ্তাহজুড়েই চলছিলো প্রস্তুতি। জাল, ট্রলার, নৌকাসহ মাছ ধরার সব সরঞ্জাম মেরামত করে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন জেলেরা।
জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো সরকার। এসময় মাছ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ ছিল।
রোববার উপজেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুর ঘাট ঘুরে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তের কর্মব্যস্ততায় রয়েছেন জেলেরা। সমুদ্রে রূপালী ইলিশের সন্ধানে যেতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন জেলেরা।
ভোলার মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব গণমাধ্যমকে বলেন, ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেরা নেমে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ শিকার করতে পারবেন। তখন তারা তাদের বিগত দিনের ধারদেনা পরিশোধ করে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মোটামুটি সফল হয়েছে বলেও দাবি করেন এই কর্মকর্তা।
ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান বলেন, সাগর থেকে একটি ইলিশ মিঠা পানিতে আসতে হলে তিনটি ধাপ পার হতে হয়। লোনা পানি, আধা লোনা এবং মিঠা পানি। এই সাগর থেকে মিঠাপানিতে ইলিশকে আসার জন্য তার পথ সুগম করতে হবে। তাহলে নদীতে ইলিশের বিচরণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। তবে এবার মাছ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।