জেনারেটরের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের পর এবার পদ্মা সেতুর সড়কবাতি প্রজ্বলন করা হলো সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ২০৭টি বাতি জ্বলে উঠল। গত ৭ দিনে পর্যায়ক্রমে ৪১৫টি লাইট জ্বালানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর স্ট্রিট লাইটের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম সফলভাবে শেষ হয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে মাওয়া প্রান্তে ২০৭টি লাইট পরীক্ষামূলক জ্বালানো হয়। মাওয়া প্রান্তের পশ্চিম পাশের ভায়াডাক্ট থেকে মূল সেতু পর্যন্ত এই লাইটগুলো জ্বলে ওঠে। ভায়াডাক্ট এবং মূল সেতুতে ২০৭টি লাইট আলোকিত করে গোটা এলাকা।
তবে চোখ ধাঁধানো পদ্মা সেতুর আর্কিটেকচারাল লাইটটি স্থাপন হবে উদ্বোধনের পর। গেল ৪ জুন প্রথম বাতি জ্বলে ২৪ ল্যাম্পপোস্টে। এরপর প্রতিদিনই বিভিন্ন মডিউলে এবং ভায়াডাক্টে পরীক্ষা চালানো হয় লাইটের।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস জানান, রাত ছাড়াও ঘন কুয়াশা বা মেঘলা আকাশে আলো স্বল্পতায় অটো জ্বলে উঠবে বাতিগুলো।
১৭৫ ওয়াটের প্রতিটি এলইডি লাইটের একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব সাড়ে ৩৭ মিটার। সহ্য করতে পারবে ঘণ্টায় ২শ কিলোমিটার বাতাসের গতি। মূল সেতুতে ৩২৮টি এবং দুই প্রান্তের সংযোগ সেতুতে ৮৭টি লাইট রয়েছে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাধারণত এলইডি বাতির উজ্জ্বলতা কমে যায়। কিন্তু পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত ফিলিপসের এই এলইডি বাতির উজ্জ্বলতা কমবে না। বাতিগুলো টিকবে ২০ বছর।