স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা থেকে চাকরী হারালেন আলাউদ্দিন আরিফ। যিনি বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউজে। যার কর্মস্থল ছিলো বাংলাদেশ প্রতিদিন। যাকে সরাসরি ইষ্টওয়েস্ট মিডিয়াতে নিয়োগ দিয়েছিলেন বসুন্ধরার এমডি সায়েম আনভির সোবহান। সেই সায়েম সোবহানই আলাউদ্দিন আরিফকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করলেন।
মজার বিষয় হচ্ছে আলাউদ্দিন অরিফ ক্রাইম রিপোটার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্র্যাবের সাধারন সম্পাদক হিসেবে যেদিন বাদ পড়লেন ঠিক সেইদিন অথ্যাৎ জানুয়ারীর পাচ তারিখ সন্ধা বেলায় তার চাকুরি থেকে বরখাস্তের চিঠি আসে।
এই আলাউদ্দিন আরিফ ক্র্যাবের সাধারন সম্পাদক থাকা অবস্থা গুলাশানে মুনিয়া হত্যায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বসুন্ধরার এমডি সায়েম আনভির সোবহানের সাথে তার নেতৃত্বে ক্র্যাব নেতবৃন্দের সাক্ষাত করিয়ে দিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয় যখন আনভির সোবহান পুলিশের খাতায় পলাতক আসামী ছিলেন।
ঠিক সেই সময় আনভির সোবহানের সাথে সাক্ষাৎ করা ছিলো উদ্দেশ্যে প্রনোদিত সেটি বুঝতে পেরেছিলো সংগঠনের সবাই। কিন্তু আনভিরের সাথে শখ্যতা গড়ে নিজেদের আখের গোছানোর জন্যই আলাউদ্দিন আরিফ এবং সভাপতি মিজান মালিক দুজনই আনভির সোবহানের সাথে ক্র্যাবের সে সময়কার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের টাকার বিনিময়ে সাক্ষাৎ করায়। সেই সময় আলাউদ্দিন আরিফের কর্মস্থল ছিলেো সায়েম সোবহানের বন্ধু লিয়াকত আলী খান মুকুলএর পত্রিকা দেশ রুপান্তরে।
ক্র্যাবের সেই সময়কার কার্যনিবার্হী সদস্যদের মুনিয়া হত্যার অভিযুক্ত পলাতক আসামী আনভির সোবহানের সাথে দেখা করিয়ে আনভিরের সাথে শখ্যতা বাড়ে আলাউদ্দিন আরিফের। সাংবাদিক সমাজকে বুড়্র আঙ্গুল দেখিয়ে আনভিরের সাথে সাক্ষাতের যৌক্তিকতার বুলি আউড়াতে থাকে এই আলাউদ্দিন আরিফ। পরের মাসেই মোটা টাকার বেতন দিয়ে সাংবাদিক সমাজকে বুড়ো আঙ্গুল দেখয়ে দেশ রুপান্তর ছেড়ে গর্বের সাথে চাকুরী নেয় ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়াতে।
আলাউদ্দিন আরিফ আনভিরের সাক্ষর করা নিয়োগপত্র নিয়ে যান বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের কাছে। কিন্তু সাংবাদিকতার চাকুরির নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নঈম নিজামের কাছে নিয়োগপত্র দেয়াটাকে সহজভাবে নিতে পারেননী নঈম নিজাম। তিনদিন আলাউদ্দিন আরিফের নিয়োগ নঈম নিজাম আটকে রাখেন। পরে সায়েম সোবহানের কারনে অনেকটা বাধ্য হয়ে ধান্দাবাজ আলাউদ্দিন আরিফের নিয়োগপত্র গ্রহন করে বাংলাদেশ প্রতিদিনে কাজ করার সুযোগ দেন সম্পাদক নঈম নিজাম।
মূলত সম্পাদক নঈম নিজামের সাথে আলাউদ্দিন আরিফের কাজের কোনো যোগাযোগ ছিলোনা। তবু আলাউদ্দিন আরিফ যাই লিখতো তাই চাপানো হতো বাংলাদেশ প্রতিদিনে। কারন সায়েম সোবহানের ভয়।
খোজ নিয়ে জানাযায় এই আলাউদ্দিন আরিফ ক্র্যাবের সাধারন সম্পাদক হওয়ার আগে তার সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়তো অল্প বেতনের কারনে। কিন্তু ক্র্যাবের সাধারন সম্পাদক হবার পরেই আলাউদ্দেনের চেরাগ পেয়েযায় আলাউদ্দিন আরিফ। বাড্ডা এলাকায় নিজস্ব ফ্লাটসহ অনেক টাকার মালিক বনে যায় আলাউদ্দিন আরিফ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আলাউদ্দিন আরিফের এক সময়ের ক্র্যাব পাটনার ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি মিজান মালিক জানান “ আলাউদ্দিন আরিফের ফ্লাটের কথা তার কানে এসেছে তবে সেই ফ্লাটে যাওয়া হয়নি তার। মিজান মালিক বলেন, আলাউদ্দিন আরিফ ক্র্যাবের সাধারন সম্পাদক থাকা অবস্থায় তার অবর্তমানে অনেক জায়গা থেকে ক্র্যাবের কথা বলে টাকা এনেছে বলে শুনেছি। কিন্তু সেইসব বিষয়ে কখনো ঘাটতে যাইনী। এবারে কেনো আলাউদ্দিন আরিফ ক্র্যাবের নির্বাচন করলেন না এই বিষয়ে মিজান মালিক বলেন, সেটি পরাজয় নিশ্চিত জেনেই হয়তো আলাউদ্দিন আরিফ নির্বাচন করা করার সিন্ধান্ত নেন।
উল্লেখ করার বিষয় হচ্ছে আলাউদ্দিন আরিফ এবং মিজান মালিক উভয়ের গ্রামের বাড়ি চাদপুরে। আলাউদ্দিন আরিফকে কেনো ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়া এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে চাকুরীচূত্য করা হলো এই বিষয়ে ক্র্যাবের অন্য সদস্যরা জানান আলাউদ্দিন আরিফের নীতি আদর্শ বলে কিছুই নাই। টাকার কাছে সে সবকিছুই বিক্রি করে ফেলতে পারে। হয়তো সেই বিষয় বুঝেই হয়তো সায়েম সোবহান এই সিন্ধান্ত নিতে বাধ্যহয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক সংবাদকর্মী জানায় “”আলাউদ্দিন আরিফকে কেরনাীগন্জের একটি নিউজ করতে বলাহয়। কিন্তু আলাউদ্দিন আরিফ অজ্ঞাত কারনে পুরো উলটো নিউজটা জমা দেন। ভেতরের গল্প বলা যাচ্ছেনা। “’
কেউ কেউ জানান “” প্রতিটা নিউজের ক্ষেত্রে আলাউদ্দিন আরিফ অবৈধভাবে মোটা টাকা নিয়ে থাকে। আলাউদ্দিন আরিফ নামকাওয়াস্তে সাংবাদিক। এরআগে যুগান্তরে কাজ করার সময়ও নানা অপরাধের কারনে সেখান থেকেও চাকুরীচূত্য করাহয় তাককে। এই ক্ষেত্রেও সেই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বা অন্য কোনো কারনও থাকতে পারে। মালিক কি কারনে কার চাকরী খায় সেটা বলা মুশকিল।“”
অনেক সদস্য জানান বাংলাদেশ প্রতিদিনে চাকুরী করলেও সদ্য শেষ হওয়া ক্র্যাব নির্বাচনে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মির্জা মেহেদী তমালের ক্যাম্পেইন না করে আলাউদ্দিন আরিফ তার ভাব গুরু শিবির নেতা দৈনিক নয়া দিগন্তের আবু সালেহ আকনের হয়ে গোপনে কাজ করেছে। সেই বিষয় হয়তো ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার মালিক সায়েম সোবহান জানার পরেই হয়তো তাকে চাকুরীচূত্য করার সিন্ধান্ত নেয়।