টানা বর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্রে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে বিকাল থেকে চারটা টিম কাজ শুরু করবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ইতোমধ্যে জেলা শহর ও বিভিন্ন উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। শহরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। বিকালের মধ্যে না এলে প্রয়োজনে তাদেরকে জোর করে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে।’
ইতোমধ্যে শহর এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরে যেতে নিকটস্থ ২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে কাউকে পাওয়া যায়নি।
রাঙামাটি সনতান পাড়া এলাকার বাসিন্দা সেলিম মিয়া বলেন, ‘রাতে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। আমার বাড়ির কিছু মাটি সরে গেছে। রাত থেকে প্রশাসনের লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করছে। বেশি বৃষ্টি হলে আশ্রয় কেন্দ্র যাবো। এখন গিয়ে কী হবে?’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস করছে চার হাজার পরিবারের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। এদিকে গতকাল শুক্রবার থেকে টানা বর্ষণ চলছে। শনিবারও সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাঙামাটিতে ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে ১২০ এবং ২০১৮ সালে ১১ জনের মৃত্যু হয়।