দাম বেড়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখার কারণ দেখিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
শুক্রবার ভারতের ডিরেক্টরেট অব ফরেন ট্রেড এক বিজ্ঞপ্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির অর্থ ও বাণিজ্য বিষয়ক অনলাইন পোর্টাল মানি কন্ট্রোল।
ওই খবরে বলা হয়েছে, রাজধানী নয়াদিল্লিতে খুচরো পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ রুপিতে, যা বাংলাদেশি টাকায় ন৮২ থেকে ১০৫ টাকা।
রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে গত ২৮ অক্টোবরে এক দফা পদক্ষেপ নেয় ভারত সরকার। প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তারও আগে আগস্ট মাসে রপ্তানিতে আরোপ করা হয় অতিরিক্ত ৪০ শতাংশ শুল্ক।
নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও শর্তসাপেক্ষে পেঁয়াজ রপ্তানির একটি সুযোগ রেখেছে ভারত সরকার। ডিরেক্টরেট অব ফরেন ট্রেডের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোনো দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ অনুমতি নিতে হবে।
আবার আমদানি করতে ইচ্ছুক সংশ্লিষ্ট দেশও ভারত সরকারের কাছে আবেদন করে অনুমতি নিতে পারবে।
বাংলাদেশে পেঁয়াজের অভ্যন্তরীণ চাহিদার একটি অংশ মেটানো হয় ভারত থেকে আমদানি করে। তাই ভারতের বাজারের দাম ওঠানামা এবং রপ্তানি নিষিদ্ধের প্রভাব পড়ে স্থানীয় বাজারে।
মানি কন্ট্রোল, গত পহেলা এপ্রিল থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত পৌনে ১০ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে ভারত। এসব পেঁয়াজের শীর্ষ গন্তব্য দেশ ছিলো বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।