সোমবার , ১০ জানুয়ারি ২০২২ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন শ্বাসরুদ্ধকর ‘লন্ডন টু বাংলাদেশ’

প্রতিবেদক

জানুয়ারি ১০, ২০২২ ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ ৯ মাস কারাবাসের পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তানের ইচ্ছাতেই তাঁকে পাঠানো হয় লন্ডনে। এ খবরে বঙ্গবন্ধুর পরিবার, দেশের আপামর জনসাধারণ ও বিশ্বনেতৃত্বসহ সবাই স্বস্তি পেলেও কখন ফিরবেন নেতা, সেই প্রতীক্ষা বাড়তে থাকে। ৮ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার আগ পর্যন্ত এক শ্বাসরুদ্ধকর সময় কাটান সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সদ্য স্বাধীন দেশের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু সেদিন হিথ্রো বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেও সেখানে কোনও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে চাননি। পরে লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে সম্মেলন কক্ষে প্রবেশের সময় বঙ্গবন্ধু ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সাংবাদিকদের অভিনন্দিত করেন। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্ক রাখবে—তিনি এমন কোনও প্রতিশ্রুতি মি. ভুট্টোকে দেননি বলেও জানিয়ে দেন।

তিনি সেদিন দরাজ কণ্ঠে কথা জানান, দেহে কোনও অসুস্থতার লক্ষণ ছিল না। তখন কেবলই দেশে ফেরার তাগাদা লক্ষ করা যাচ্ছিলো। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘যখন তাঁর জনগণ তাঁকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেছে, তখন আমি রাষ্ট্রদ্রোহের’ দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাগারে বন্দি জীবন কাটাচ্ছি। এই ট্রাইব্যুনালের বিচারের রায় কখনও প্রকাশ করা হয়নি। একটি খুব খারাপ স্থানে কল্পনাতীত একাকিত্বে বন্দিজীবন কাটাতে হয়েছে। কোনও রেডিও না, চিঠি না, বাইরের জগতের সঙ্গে কোনও যোগাযোগই ছিল না। মরার জন্য মনের দিক থেকে আমি প্রস্তুত ছিলাম। যেদিন জেলে নেওয়া হলো, তখন আমি বাঁচবো কিনা ধারণা ছিল না। তবে এটা জানতাম, বাংলাদেশ মুক্ত হবেই। 

তবে এটা জানতাম, বাংলাদেশ মুক্ত হবেই। আমার দেশের লাখ লাখ লোককে হত্যা করা হয়েছে, নিষ্ঠুর অত্যাচার চালিয়েছে। বেঁচে থাকলে হিটলারও লজ্জা পেতো।

তিনি ওইটুকু সময়ের মধ্যে দেশের কথা জানতে চেষ্টা করা, রাজনৈতিক-কূটনৈতিক অবস্থান বুঝে নেওয়া, দেশে ফেরার নিরাপদ ব্যবস্থা করার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন বলে সেই সময়ের সহযাত্রীরা উল্লেখ করেন।

এমনকি তিনি মাত্র আধঘণ্টা পরিবারের সঙ্গে কথা বলে কাটান। লন্ডন থেকে টেলিফোনে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রথম প্রশ্ন ছিল—‘বেঁচে আছো তো?’ ২৫ মার্চের দুর্বিষহ কালরাতের পর ৮ তারিখ শনিবার (১৯৭২) প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্ত্রী ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান। প্রথমে বড় ছেলে শেখ কামাল, পরে ক্রমান্বয়ে বেগম মুজিব, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও ছোট ছেলের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনাবহুল ও দুর্বিষহ ৯ মাস পর পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের কণ্ঠ শুনতে পেলেন। বেগম মুজিব আবেগঘন কণ্ঠে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এনা পরিবেশিত খবরে বলা হয়—বেগম মুজিব সাংবাদিকদের জানান, তিনি আবেগে এত অভিভূত হয়ে গিয়েছিলেন যে প্রথমবার কথা বলতে পারেননি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত

বিমানের উড়োজাহাজে সাড়ে চার কেজি স্বর্ণ উদ্ধার 

ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার

বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

বাড়াবাড়ি তো সরকার করছে, হুমকি-ধমকিতে দমানো যাবে না: ফখরুল

বিএনপি মিথ্যাচারকে শিল্পে রূপ দিয়েছে: ওবায়দুল কাদের

বাসে মা-মেয়েকে মারধরের প্রতিবাদ করায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা

নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর দায় হাসপাতালের: ডা. সংযুক্তা

সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপির ‘জাতীয় ঐক্যের’ ডাকে জামায়াতের সমর্থন

মুক্তিযুদ্ধে চেতনা যেন ভুলুণ্ঠিত না হয়, সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী

রাজধানীতে বিএনপি ও পুলিশের ধাওয়া-পালটাধাওয়া, গাড়ি ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ