আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারী কারা ছিল, তা উদ্ঘাটনে এ বছরের ডিসেম্বরেই কমিশন গঠন করা হবে।
বুধবার জাতীয় সংসদে মন্ত্রী একথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একটা দায়বদ্ধতা থেকে এই মহান সংসদে ঘোষণা দিতে চাচ্ছি, আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পরে এই বছর (২০২২ সাল) শেষ হওয়ার আগে আমরা কমিশন অব ডকুমেন্টস অ্যাক্টের আন্ডারে একটি কমিশন গঠন করব।সেই কমিশন এই কাজটি করে রিপোর্ট দেবে। হত্যার নেপথ্যে যারা ছিল, তাদের পরিচয় উদঘাটন করে দেবে।’
স্বাধীন হওয়ার ৪ বছরের মাথায় বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র থাকার কথা বরাবরই বলা হচ্ছে।নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বিচারে সরাসরি খুনিদের সাজার রায় এলেও নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীরা বাইরেই থেকে গেছে। আবার খুনিদের কয়েকজন বিদেশেও পালিয়ে আছেন।
এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারী কারা- তাদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠনের কথা এর আগেও আনিসুল হক জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মহামারি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে কমিশন গঠন করা হবে, যাতে ‘ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে’ তাদের নাম জনসম্মুখে প্রকাশ করা যায়।
তবে নতুন করে কমিশন গঠনের পেছনে ১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াকে জড়ানোর উদ্দেশ্য রয়েছে বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে আসছেন।
আজ (বুধবার) সংসদে আনিসুল হক বিএনপির অভিযোগের জবাবও দেন। তিনি বলেন, ‘কোনো প্রতিহিংসামূলক বা প্রতিশোধের জন্য নয়, এই কমিশনের দায়িত্ব হবে নতুন প্রজন্মকে বেঈমানদের চিহ্নিত করে যাওয়া।নতুন প্রজন্ম, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ থাকব, আমরা যদি এইসব বেঈমান, যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে চিহ্নিত করে না দিয়ে যেতে পারি।’