বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া অফিস বলছে, বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ‘দানা’ দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, ‘দানা’র বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।
বুধবার সকালে আবহাওয়া বিদ মোহাম্মদ আবদুর রহমান খান এই তথ্য জানিয়েছেন।
এদিন তার সই করার আবহাওয়ার এক বিশেষ বার্তায় বলা হয়, ‘পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৬.২০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.০০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় পরিণত হয়েছে।
এটি বুধবার সকাল ছয়টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সঙ্কেত নামিয়ে দুই নম্বর (পুন:) দূরবর্তী হুশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বারত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ওড়িশা-বঙ্গ উপকূল অতিক্রম করবে। ঝড় মোকাবিলায় ইতিমধ্যে ওড়িশায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ‘দানা’র বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।
এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে কাতার। ‘দানা’ নামের অর্থ মুক্ত বা স্বাধীনতা।