খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শুভ বড়দিন। রাত পোহালেই সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠবেন খ্রিস্টধর্মের অনুসারীরা। এই উৎসবের জন্য প্রস্তুত রাজধানী ঢাকা। এ উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন চার্চ, মার্কেট এবং পাঁচ তারকা হোটেলগুলো বিশেষভাবে সাজানো হয়েছে।
রমনার কাকরাইলের সেন্ট মেরিস ক্যাথেড্রাল চার্চের গির্জাসহ ইতোমধ্যে বাহারি সাজে সেজেছে সব গির্জা। ঝলমলে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো হয়েছে হোটেলগুলোতে। শিশুদের জন্যে বড় দিনের দিনটিকে উপভোগ্য করে তুলতে প্রায় সব ধরনের আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে পাঁচ তারকা হোটেলগুলো।
হোটেলগুলোতে শোভা পাচ্ছে গিফট বক্স, ঝলমলে আলোকসজ্জা, ক্রিস্টমাস ট্রীসহ বড়দিনের নানা অনুষঙ্গ। প্রতিবারের মতো এবারও ওয়েস্টিন ও শেরাটন হোটেলে থাকছে শিশুদের জন্যে বিশেষ আয়োজন। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত অভিভাবক ও তাদের সন্তানেরা যোগ দিতে পারবেন এই উৎসবে।
বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলেও রয়েছে জমকালো আয়োজন। উৎসবকে রঙিন করতে পুরো হোটেল চত্বর সেজেছে ক্রিস্টমাস সাজে। সান্তা ক্লজের উপহার আর শিশুদের জন্য নানা আয়োজনের ব্যবস্থা থাকছে রাজধানীর পাঁচতারকা থেকে তিন-চার তারকা হোটেলগুলোতেও।
বিশেষ করে ম্যাজিক শো, রাইডস, ভিডিও গেমস, কার্টুন প্রদর্শনীর পাশাপাশি বড়দের জন্য রয়েছে থাকা-খাওয়ার বিশেষ প্যাকেজ। রেনেসাঁ হোটেলেও বড়দিন উপলক্ষে রয়েছে দুই দিনের আয়োজন।
রাজধানীতে বড়দিনের নিরাপত্তায় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নগর পুলিশ। কাকরাইলের সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল চার্চে সার্বিক নিরাপত্তা মহড়া পরিদর্শন শেষে তিনি ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মাসুদ করিম বলেন, বড়দিনে ঢাকায় পটকা ফুটানো, ফানুস উড়ানো ও আতশবাজি ফুটানো যাবে না।
বাংলাদেশের আর্চবিশপ বিজয় এন ডি ক্রুজের বড়দিনের বাণীতে বলেছেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছেন। ছাত্র-জনতা আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আমরা প্রার্থনা ও প্রত্যাশা করি এই দেশটি হয়ে উঠুক গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও উন্নত একটা দেশ।
তিনি আরও বলেন, এ বছর আমরা যখন বড়দিন উদ্যাপন করছি তখন যিশুর জন্মস্থান ও পুণ্যভূমিতে চলছে যুদ্ধ, ইসরাইল এবং প্যালেস্টানের মধ্যে। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সঙ্গে আমেরিকাসহ ইউরোপের অনেক দেশ জড়িত হয়ে পড়েছে সেই যুদ্ধে। শান্তিরাজ প্রভু যিশু খ্রিস্টের আগমনে এ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক।