রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি (নিউক্লিয়ার ফ্রেশ ফুয়েল) ইউরেনিয়াম বাংলাদেশকে হস্তান্তর করেছে রাশিয়া।
আর ইউরোনিয়াম হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের কাজ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এই দুই বিশ্ব নেতার পাশাপাশি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি।
বাসসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) এলাকার অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের কাছে ইউরেনিয়াম সরবরাহের সনদ এবং মডেল (রেপ্লিকা) হস্তান্তর করেন।
এই ইউরেনিয়াম জ্বালানি পুড়িয়ে সেখান থেকে পাওয়া শক্তি দিয়েই উৎপাদন হবে বিদ্যুৎ। ইউরেনিয়াম তেজস্ক্রিয় পদার্থ হওয়ায় এর ঝুঁকি মোকাবেলায় নেয়া হয়েছে সবার আগে।
রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক এবং সব থেকে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সিংহভাগ ঋণ দিচ্ছে রাশিয়া। প্রকল্প বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটমের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন।
এক লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই কেন্দ্র দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত।
এরই মধ্যে ১ হাজার ২শ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটের ৯০ শতাংশ কাজই শেষ। আগামী বছর এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে বিদ্যুৎ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে প্রথমবারের মতো দেশে এসে পৌঁছে নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা পারমাণবিক জ্বালানি।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নির্দেশনা মোতাবেক কাজ এগিয়ে নেওয়ায় পারমাণবিক জ্বালানি পাওয়ার সব ধাপ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
আইএইএর নির্দেশনা অনুযায়ী শর্ত পূরণ করায় বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটি গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে (বিএইসি) পারমাণবিক জ্বালানি আমদানি ও সংরক্ষণের লাইসেন্স দেয়।