বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ২৯ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মিয়ানমারের অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে পালিয়ে তারা বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির কাছে আশ্রয় নেয়।
বিজিবি সদর দপ্তরের গণসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আশ্রয় চায় বিজিপির ২৯ সদস্য। পরে সীমান্তে দায়িত্বে থাকা বিজিবির জোয়ানরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে আশ্রয় প্রার্থীদের নিরাপদে নিয়ে আসে। পরে তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়।
বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্যদের নাইক্ষ্যংছড়ির নুরুল আলম কোম্পানির চা বাগানে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে তাদের নিরস্ত্র করে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হবে।
বিজিবি ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান, ক্ষমতা দখলে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান যুদ্ধে দেশটির ২৯ জন বিজিপি সদস্য বিচ্ছিন্ন হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির সীমান্তবর্তী নোম্যান্সল্যান্ডে লুকিয়ে ছিলো। সেখানে কয়েক দিন খাদ্য সংকটে থাকার পর তারা সোমবার জামছড়ি বিওপি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে এর আগেও দেশটির সীমান্তরক্ষীসহ বিভিন্ন বাহিনীর চার শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদেরকে উভয়পক্ষের সমঝোতায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।