মঙ্গলবার , ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা

প্রতিবেদক
Newsdesk
জানুয়ারি ৩০, ২০২৪ ১১:১৯ অপরাহ্ণ

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সংঘর্ষের মধ্যে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।

এর জের ধরে রাখাইনের সীমান্ত এলাকা বাংলাদেশের তুমব্রু ও টেকনাফের কাছাকাছি মিয়ানমারের হেলিকপ্টার মহড়া দিচ্ছে।

আর এতে মিয়ানমার থেকে আবারো বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ এরইমধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। সব চেয়ে বেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে ২০১৭ সালে।

ওই বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর গণহত্যা শুরু করলে জীবন বাঁচাতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ওই বছরই প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

গেলো কদিনের মতো মঙ্গলবারও নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে প্রবল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

মর্টার শেল ও গোলাগুলির বিকট শব্দে কেঁপেছে ঘুমধুম ও টেকনাফ সীমান্ত। স্বাভাবিক হয়নি মানুষের দৈনন্দিন কাজ। তবে স্কুল মাদ্রাসায় ক্লাস হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই।

এলাকাবাসী বলছেন, বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে ভয়ে আছেন তারা। কাজে যেতেও ভয় পাচ্ছেন তারা।

গত কয়েকদিনের ব্যাপক সংঘর্ষে প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা বিবেচনায় সীমান্তবর্তী এলাকার পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা ও একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।

মঙ্গলবার সাময়িক বন্ধ হওয়া ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় এবং সীমান্তের ১০০ গজ দূরত্বে থাকা সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা।

এদিকে মিয়ানমারে স্নাইপারের গুলিতে হেলিকপ্টারে থাকা এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলসহ নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন।

আরাকানের স্বাধীন সত্ত্বা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সশস্ত্র সংগ্রাম করে যাচ্ছে আরাকান আর্মি। কিছুদিন থেকেই তাদের সাথে জান্তা বাহিনীর ব্যাপক লড়াই চলছে। রাখাইনের ম্রাউক ইউ, কিয়াকতাও ও রাথেডং এলাকায় জান্তা বাহিনীর সঙ্গে এখনো আরাকান আর্মির লড়াই ব্যাপক লড়াই চলছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক