ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় তিন সাব-ইন্সপেক্টরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ পুলিশ সদর দপ্তরের একজন উপ পুলিশ সুপারকে ক্লোজ করা হয়েছে। পাশাপাশি হামলার ঘটনায় সাত ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এনই।
গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা বলেছে, বিক্ষোভের নামে হাইকমিশনের সামনে জড়ো হওয়ার পর কড়া নিরাপত্তার মধ্যে একটি দল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। তবে এক পর্যায়ে ওই গ্রুপের কিছু সদস্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করে, হাইকমিশন চত্বরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অপমান করে।
এর আগে সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার নিন্দা জানায় এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর মুক্তি দাবি করে। এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিল ‘হিন্দু সংগ্রাম সমিতি’, একটি ডানপন্থি সংগঠন।
এই ঘটনায় সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আগরতলার ঘটনাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং বিক্ষোভকারীদের হাইকমিশন প্রাঙ্গণে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে আগরতলার ঘটনায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা নিন্দা জানিয়েছে বলেছেন, আগরতলা সার্কিট হাউসে গান্ধী মূর্তির সামনে বেশ কিছু মানুষ জড়ো হয়েছিল এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিল। দুর্ভাগ্যবশত, কিছু ব্যক্তি জোরপূর্বক বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রাঙ্গণে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বা প্রতিবাদ গ্রহণযোগ্য, কিন্তু এ ধরনের আচরণ একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত।