সরকার ঐকমত্য কমিশন করেছে, যার মেয়াদ ছয় মাস। তাহলে মিনিমাম সংস্কার যদি হয়, তবে ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে হবে। আর ডিসেম্বরে করতে হলে অক্টোবরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এখন ভোটার তালিকাসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
এসময় তিনি বলেন, আমরা চাই অবাধ তথ্যপ্রবাহ হোক। সরকারের আইন অনুযায়ী গণমাধ্যমে কে কথা বলতে পারবে তা নির্ধারণ করা আছে। আমরাও একজন কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছি কথা বলার জন্য। আমরা সচিবালয় আইন অনুযায়ী তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করছি।
সিইসি বলেন, বাংলাদেশের সব জায়গায় দলীয়করণের অভিযোগ আছে। কিন্তু কমিশন সাংবাদিকদের দলীয়করণ করতে চায় না।
তিনি জানান, নির্বাচনের দুইটা তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। জুন মাসে নির্বাচন হয় না বর্ষার কারণে। সেটা এপ্রিলে হতে পারে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের মতামত না জেনে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। তবে আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি।
তিনি বলেন, ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কোয়ালিটিপূর্ণ তালিকা না হলে নির্বাচন মানসম্পন্ন হবে না। ভোটার তালিকা করতে গিয়ে ১৭ লাখ মৃত ভোটারের তথ্য পাওয়া গেছে। এটা আরো বাড়তে পারে।
নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যতটুকু দরকার সেটুকু করার উদ্যোগ নিচ্ছি। যেখানে যা সংস্কার করা দরকার আমরা আশা করি সরকার তা করবে। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই।
তিনি বলেন, আমরা কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছি না। আমাদের লক্ষ্য নির্বাচন সুষ্ঠু করা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচনের আগে ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করি।