রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। হতাহতের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। আহতদের মধ্যে দগ্ধ ৭০ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার দুপুরে ঢাকার বার্ন ইন্সটিটিউটে এসব তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। এই সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলসহ অন্তর্বর্তী সরকারের আরও কয়েকজন উপদেষ্টা তার সাথে ছিলেন।
তিনি জানান, আহত শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে এসেছে। তাদের বার্ন ইন্সটিটিউট, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও উত্তরার আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান বলেন, উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জন জরুরি বিভাগে এসেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি। দুপুর আড়াইটার পর থেকে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে তাদের নিয়ে আসা শুরু হয়।
প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশি মিশনেও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। আহত-নিহতদের জন্য দেশের সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জরুরি হটলাইন চালু করা হয়েছে। হটলাইন নম্বর 01949043697।



















