জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সমন্বিত একটি সিদ্ধান্ত এসেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ
জ্যেষ্ঠতারভিত্তিতে দুই জন বিচারপতি থেকে একজন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে প্রথম দুই জনের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অন্য কোনো অভিযোগ থাকলে তৃতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
জরুরি অবস্থা ঘোষণা
জরুরি অবস্থা কীভাবে জারি হবে, এ বিষয়ে একমত হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী এককভাবে নন, মন্ত্রিসভার অনুমোদনে জারি হবে জরুরি অবস্থা। এ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিরোধীদলীয় নেতা বা উপনেতা।
সিদ্ধান্ত হয়- জরুরি অবস্থা হলে নাগরিকের ‘জীবনের অধিকার’ এবং ‘নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার অধিকার থাকবে’। জরুরি অবস্থা ঘোষণা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছালেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আগামী মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এর গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে।
রোববার (১৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার দ্বাদশ দিনের সংলাপ শেষে এসব তথ্য জানান কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি জুলাই মাসের মধ্যে যেভাবে হোক একটি যৌক্তিক জায়গায় আসতে। যা হবে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালনের পদক্ষেপ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যেকোনোভাবেই হোক ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। কারণ প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করায় অন্য সাংগঠনিক কাজ, নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে আপনাদের অংশগ্রহণ বিলম্বিত হচ্ছে, তা আমরা চাই না। সেদিক থেকে বিবেচনা করে আমরা যে মৌলিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে আলোচনা করছি সেগুলো নিয়ে দ্রুত ঐকমত্যের জায়গায় আসতে পারলে আমাদের পক্ষে এ পর্বের যৌক্তিক সমাপ্তি টানা এবং জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে।


















